সব ছাড়িয়ে উড়ছেন রাফিনহা

অলৌকিক কিংবা অতিমানবীয় নাকি ভিন্ন গ্রহের কিছু? রিয়াল ভায়োলোদিদের বিপক্ষে রাফিনহা যা করলেন সেটা বার্সেলোনার সবচেয়ে পাঁড় ভক্তও বোধহয় হজম করতে পারছেন না এখনও।

অলৌকিক কিংবা অতিমানবীয় নাকি ভিন্ন গ্রহের কিছু? রিয়াল ভায়োলোদিদের বিপক্ষে রাফিনহা যা করলেন সেটা বার্সেলোনার সবচেয়ে পাঁড় ভক্তও বোধহয় হজম করতে পারছেন না এখনও। প্রতিপক্ষকে রীতিমতো ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়েছেন তিনি, হিংস্রতা সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। তাঁর পা থেকে এসেছে গোলের হ্যাটট্রিক, অ্যাসিস্ট এসেছে আরও দু’খানা – সবমিলিয়ে নির্মম সুন্দর এক প্রদর্শনী!

শুরুটা সাদামাটা, ঝড় ওঠার আগে যেমন শান্ত হয়ে যায় প্রকৃতি ঠিক তেমনই। কিন্তু ঠিক বিশ মিনিটের মাথায় উঠলো ভয়ানক ঝড়, পাউ কুবার্সির লফটেড পাস থেকে ঠান্ডা মাথায় গোল আদায় করে নেন এই ব্রাজিলিয়ান। তারপর অবশ্য ক্যামেরার ফোকাস থেকে খানিকটা সরে গিয়েছিলেন তিনি কিন্তু ৬৪ মিনিটের মাথায় আবারও স্কোরবোর্ডে ওঠে তাঁর নাম।

হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার জন্য আর অপেক্ষা করতে হয়নি বেশিক্ষণ, কয়েক মিনিট পরেই গোলরক্ষককে নাটমেগ করে বল জালে জড়ান এই উইঙ্গার। তাতেই কি সন্তুষ্ট হয়েছেন তিনি, মোটেই না।

নিজের লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পর সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোর নেশায় মেতে ওঠেন; শেষমেশ রেফারি বাঁশি বেজে উঠলে থামে তাঁর তাণ্ডব। ততক্ষণে অবশ্য ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ভায়োলিদাদ। ৭-০ গোলের ব্যবধানে উড়ে গিয়েছে তাঁরা, এরই সাথে টানা চার জয় নিয়ে শীর্ষে নিজেদের অবস্থান মজবুত করলো বার্সেলোনা।

গোল আর অ্যাসিস্ট এবার সরিয়ে রাখি, ‘পিউর ফুটবল’ নিয়ে কথা হোক। পাসিং, ড্রিবলিং, বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাকহিল কিংবা অফ দ্য রানে রক্ষণভাগকে বোকা বানানো – কি ছিল না রাফিনহার মাঝে? লিওনেল মেসি, রোনালদিনহো যে জার্সি গায়ে জাদু করেছিলেন পুরো বিশ্বকে একই জার্সি পরে বোধহয় একই কাজের অঙ্গীকার করেছেন তিনি। ভায়োলিদাদের বিপক্ষে সেই অঙ্গীকার পূরণের সূচনা ঘটলো।

লা লিগায় মাত্র এক গোল করেছেন রদ্রিগো; ভিনিসিয়াস জুনিয়রেরও নামের পাশে আছে এক গোল তাও সেটা পেনাল্টি থেকে। অথচ বার্সার সাম্বা বয় মৌসুমের শুরু থেকে ছুটছেন আলোর গতিতে, ফর্মের বিচারে তিনিই সম্ভবত সবচেয়ে সেরা ব্রাজিলিয়ান এ মুহূর্তে। এই মোমেন্টাম বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন তাঁর সামনে।

Share via
Copy link