গোল করছেন, গোল করাচ্ছেন; ফুটবল পায়ে জাদু দেখাচ্ছেন! রাফিনহা আসলে ফুটবলকে দিয়ে কথা বলানো বাদে সবই করছেন। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে তিনি ছুটে চলছেন সাফল্যের সন্ধানে, বিজয় কেতন হাতে তিনি প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছেন সফলতার চূড়ায়। তাঁকে থামাবে এমন সাধ্য আছে কার?
সত্যিই কারো নেই, এই উইঙ্গারকে দমিয়ে রাখতে পারেনা কেউই। পারেনি মায়োর্কাও, জোড়া গোল করে তিনি একাই গড়ে দিয়েছেন ম্যাচের ভাগ্য। লা লিগায় আগের তিন ম্যাচে জিততে ব্যর্থ হওয়া বার্সেলোনা জয়ের ধারায় ফিরলো তাঁর পায়ে ভর করেই।
ম্যাচের প্রথম থেকেই এই ব্রাজিলিয়ান আবির্ভূত হয়েছিলেন চেনা ছন্দে, তবে গোলের জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত। ৫৫ মিনিটের সময় পেনাল্টি পায় বার্সা, আত্মবিশ্বাসী শটে সেখান থেকে গোল করেন তিনি। পরের গোলটা কয়েকগুণ বেশি মুগ্ধকর, লামিন ইয়ামালের ট্রিভিয়া পাসের সুবাদে বল চলে আসে তাঁর পায়ে। এরপর তো ঠান্ডা মাথার ফিনিশিং আর গোল উদযাপনের উপলক্ষ।
স্রেফ এতটুকুই নয়, পঞ্চম গোলের সময় আক্রমণ গড়ে উঠেছিল রাফিনহার লং পাস থেকেই; এছাড়া আরো কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে দারুণ একটা ম্যাচ পার করেছেন তিনি, ভাগ্য সহায় হলে হ্যাটট্রিকও পেয়ে যেতে পারতেন।
রাইট উইংয়ে খেলে অভ্যস্ত এই ফরোয়ার্ড, কিন্তু ইয়ামালের কারণে খেলতে হচ্ছে লেফট উইংয়ে। তবু তাঁর অভিযোগ নেই, উল্টো পারফরম্যান্সে ঈর্ষান্বিত করে চলছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা ফুটবলারদের। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড বাহুতে বেঁধে তিনি আগলে রাখছেন বার্সেলোনার দূর্গ।
এখন পর্যন্ত লা লিগায় ১১ গোল করেছেন রাফিনহা, অ্যাসিস্ট আছে আরো ছয়টা। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পাঁচ গোল আছে তাঁর ঝুলিতে – আপাতত তাঁর ইচ্ছে নিশ্চয়ই এসব সংখ্যা আরো বাড়িয়ে তোলার। আর সেটা করতে পারলে আগামী বছর ব্যালন ডি’অর জেতার স্বপ্ন অসম্ভব কিছু তো না।