অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মূল একাদশের প্রায় সবাইকে বিশ্রাম দিয়ে তরুণদের নিয়েই দল গড়েছিল ভারত। তবে ঘরের মাঠে ঠিকই আধিপত্য দেখিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে তাঁরা। পাঁচ ম্যাচের এই দ্বৈরথে চারটিতেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে সুরিয়াকুমার যাদবের দল, তৃতীয় ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অমন অবিশ্বাস্য ইনিংস না খেললে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতো অজিরা।
ব্যক্তিগতভাবে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন রবি বিষ্ণয়; পাঁচ ম্যাচে নিয়েছেন নয় উইকেট হয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার। আর এর মধ্য রবিচন্দ্রন অশ্বিনের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি, ভারতীয়দের বোলারদের মধ্যে স্বাগতিক হিসেবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট তুলে নেয়ার কীর্তির মালিক এখন তাঁরা দুজনে। এর আগে ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নয় উইকেট পেয়েছিলেন অশ্বিন।
সদ্য সমাপ্ত সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভাল করতে পারেননি বিষ্ণয়, খরচ করেছিলেন ৫৪ রান। কিন্তু পরের ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, ৩২ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। তৃতীয় ম্যাচে দল হারলেও নিজের কাজটা ঠিকঠাক করেছিলেন এই লেগ স্পিনার, ৩২ রান দিয়ে পেয়েছেন দুই উইকেট।
শেষ দুই ম্যাচেও ধারাবাহিক তিনি, কিপ্টে বোলিংয়ের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন। নিজের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে এই ডানহাতি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমি ভাল বোলিং করিনি। আমি শুধু আমার পরিকল্পনার প্রয়োগের দিকে মনোযোগী ছিলাম। আমার পরিকল্পনা সহজ ছিল, শুধু স্টাম্প টু স্টাম্প বল করা।’
ভারতের পরবর্তী মিশন এখন দক্ষিণ আফ্রিকা। পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে এই মাসেই প্রোটিয়াদের দেশে যাবে টিম ইন্ডিয়া। সেই লক্ষ্যে ঘোষিত টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে আছেন বিষ্ণয়ও, ২০২০ সালে যেখানে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরে গিয়েছিলেন সেখানে আবারো খেলবেন তিনি।
যদিও অতীত ভাবনা মাথায় না রেখে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন এই তরুণ। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভিন্ন উইকেট হবে, তাই চ্যালেঞ্জও ভিন্ন। যত দ্রুত সম্ভব পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।’