কেন বারবার হেরে চলছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স?

জিততেই ভুলে গিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু; নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জেতার পর টানা তিন ম্যাচ হেরেছে দলটি। সবশেষ রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ছয় উইকেটের বড় পরাজয় দলটির পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে; টিম ম্যানেজম্যান্ট আদৌ কোন গেমপ্ল্যান করে কি না তাও নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভারসাম্যহীন একাদশ, খেলোয়াড় নির্বাচনে ভুল করা যেন তাদের নিত্যদিনের কারবার।

এই যেমন ইংলিশ অলরাউন্ডার উইল জ্যাকসকে স্কোয়াডে ভিড়িয়েছে ঠিকই কিন্তু ব্যবহার করছে না তাঁরা। অথচ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পাওয়ার প্লেতে এই তারকার স্ট্রাইক রেট ১৬৪; মাঝের ওভারেও সেটা ১৫০ ছুঁই ছুঁই। তাছাড়া অফ স্পিনটাও ভালোই জানা আছে তাঁর। তবু কোন এক রহস্যময় কারণে তাঁকে মাঠে নামার সুযোগই দেয়া হচ্ছে না।

কাছাকাছি ব্যাপার ঘটেছে মহিপাল লোমররের সঙ্গেও, পারফর্ম করা সত্ত্বেও বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে তাঁকে। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ১৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি, পরের ম্যাচেই রাজস্থানের বিপক্ষে একাদশ থেকে বাদ দেয়া তাঁর নাম; অদ্ভুত ব্যাপারই বটে।

আরেক ফিনিশার দীনেশ কার্তিক অবশ্য নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন একাদশে, কিন্তু তাঁকেও ঠিকঠাক ব্যবহার করতে অনীহা বেঙ্গালুরুর। ডেথ ওভার স্পেশালিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও ডেথে তাঁর আগে নামানো হয় ক্যামেরন গ্রিন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মত অফ ফর্মে থাকা ব্যাটারদের।

যদিও তাঁদের সবচেয়ে বড় সমস্যা সম্ভবত স্পিন বিভাগে। মাঝের ওভারে রান আটকাতে কিংবা উইকেট তুলতে স্পিনাররা হন অধিনায়কের মূল ভরসা। কিন্তু এই দলে নেই কোন কার্যকরী স্পিনার; অনেকদিনের সঙ্গী যুজবেন্দ্র চাহালকে তো আগেই ছেড়ে দিয়েছিল তাঁরা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সেবাও পাচ্ছে না। তবু ভাল মানের স্পিনারের জন্য খরচ করতে রাজি নয় চ্যালেঞ্জার্স পরিবার।

ফ্রাঞ্চাইজির পোস্টার বয় বিরাট কোহলি, ব্যর্থতার জন্য তাই বেশি সমালোচনা শুনতে হয় তাঁকেই। অথচ ব্যর্থতার দায় যতটা তাঁর, এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টিম ম্যানেজম্যান্টের। প্রতিবারই তিনি অতিমানবীয় পারফর্ম করেন, কিন্তু শেষমেশ থেমে যেতে হয় সতীর্থদের ব্যর্থতা আর ভুল পরিকল্পনার কারণে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link