এক, দুই, তিন – হ্যাটট্রিক করলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ভিনিসিয়াসের একক নৈপুণ্যে বার্নাব্যু-তে ফিরল জয়ের ধারা। ইনজুরির হ্যাট্রিক ছাপিয়ে ভিনি এনে দিলেন উচ্ছ্বাসের কল্লোল।
এদিন বার্নাব্যুতে শুরুটাই হয়েছিল দুঃসংবাদ দিয়ে, হ্যামস্ট্রিংয়ে আঘাত পেয়ে রদ্রিগো মাঠ ছাড়েন বিশ মিনিটের মাথায়। মিনিট দশেক পরে আরো বড় দুঃসংবাদ, সদ্য এসিএল ইনজুরি থেকে ফেরা মিলিটাও মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গগনবিদারী চিৎকারে মনে হচ্ছিলো আরো একবার এসিএলের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে তাঁর। এসময় স্ট্রেচারে করে উঠে যান তিনি।
তারপর অবশ্য খানিকটা আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করেন স্টারম্যান ভিনিসিয়াস, জুড বেলিংহ্যাম বাড়িয়ে দেয়া পাস থেকে গোলের দেখা পান তিনি। বিরতির ঠিক আগে বেলিংহ্যাম নিজেই আবার নাম তোলেন স্কোরবোর্ডে, অভিষিক্ত রাউল আসেনসিওর লফটেড পাস দুর্দান্ত ভঙ্গিতে নিয়ন্ত্রণে এনে পরাস্ত করেন সার্জিও হেরেরাকে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা কেবলই ব্রাজিলিয়ান তারকার, ৬১ মিনিটের সময় গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিনকে প্রথমবারের মত অ্যাসিস্টের স্বাদ পাইয়ে দেন তিনি। গোলরক্ষকের কাছ থেকে বল নিয়েই এই উইঙ্গার ছুটে যান প্রতিপক্ষের সীমানায়, বাকি কাজ খুব একটা কঠিন ছিল না তাঁর জন্য।
৬৯ মিনিটের সময় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, বিপদজনক জায়গায় বল কেড়ে নেন ব্রাহিম দিয়াজ, নিজেই শট নিতে পারতেন তিনি। কিন্তু নিঃস্বার্থভাবে পাস বাড়ান হ্যাটট্রিক হিরোর দিকে। প্রায় ফাঁকা পোস্টে গোল দিয়ে উদযাপনে মাতেন ভিনি – চলতি মৌসুমে এর আগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। নাম্বার সেভেন জার্সি পেয়েই হয়তো আরো তীক্ষ্ণ হয়েছে তাঁর ধার।
ম্যাচের বাকি সময় আর কিছু না ঘটলে ৪-০ গোলের বড় জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার সাথে আপাতত পয়েন্টের পার্থক্য বেশি হলেও এই জয়ে অন্তত লিগ জেতার প্রতিযোগিতায় নিজেদের ধরে রাখতে পেরেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। সেই সাথে নিজেদের হারানো আত্মবিশ্বাসও অনেকটা ফিরে পেয়েছে তাঁরা।
কিন্তু ভিনির হ্যাটট্রিকের আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে ইনজুরির হ্যাটট্রিক। রদ্রিগো, এডার মিলিটাও এবং সবশেষে লুকাস ভাস্কুয়েজ চোটের কারণে মাঠ ছেড়েছেন দ্বিতীয়ার্ধের আগেই। সেজন্যই টানা দুই পরাজয়ের পর ম্যাচ জিততে পারার খুশি অনেকটাই কমে গিয়েছে।