রিয়াল মাদ্রিদের নেতৃত্ব, যার সামনের সারিতে আছেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। কার্লো আনচেলত্তিকে নিয়ে শান্ত অবস্থান বজায় রেখেছে। যদিও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে কিছু উদ্বেগ রয়েছে। আনচেলত্তি গত ডিসেম্বরে চুক্তি নবায়ন করেন, যা ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চলবে এবং চুক্তির পরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা শিরোপা এনে দেন। এখনো আতঙ্কের কিছু নেই। তবে, বার্সেলোনা ও এসি মিলানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পারা ক্লাবের ভেতরে কিছু অস্বস্তি তৈরি করেছে।
এই উদ্বেগ সত্ত্বেও, বিশ্বাস করা হচ্ছে যে কেউ যদি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে, তবে সেটা আনচেলত্তিই। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা এখনো ভাবা হয়নি। যদিও পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে রাউল গঞ্জালেজ ও সান্তিয়াগো সোলারি বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত রয়েছেন।
সম্প্রতি পেরেজ ও আনচেলত্তি ভালদেবেবাসে একসাথে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন। যা ৪-০ গোলে বার্সেলোনার কাছে হারের পর ঘটেছে এবং এটি অস্বাভাবিক হলেও, পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তুষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে। মিলানের ম্যাচের পর আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
যেখানে হতাশা আরও গভীর ছিল। আনচেলত্তির কাছে সুস্পষ্ট প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছে—যা এখনো দেখা যায়নি। কিলিয়ান এমবাপ্পের আগমন থেকে শুরু হওয়া উচ্চ প্রত্যাশার আলোকে আরও ব্যর্থতা রিয়াল মাদ্রিদকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে। তবে পেরেজ ও আনচেলত্তির মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক আগের কোচদের মতো মধ্য-মৌসুমে বরখাস্তের পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
গত গ্রীষ্মে দল গঠনের পরিকল্পনা ততটা কার্যকর ছিল না বলে মনে করা হচ্ছে। দানি কারভাহালের মতো ইনজুরিগুলো রোস্টারের ফাঁকগুলো চিহ্নিত করেছে, এবং ক্লাব শীতকালীন ট্রান্সফার মার্কেটের দিকে তাকাতে বাধ্য হচ্ছে—যা তারা গত পাঁচ বছরে ব্যবহার করেনি, শেষবার ছিল রেনিয়েরকে দলে নেওয়ার সময়।
এই সময়ে ক্রুস, নাচো এবং হোসেলুর মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় বিদায় নিয়েছেন। তাদের জায়গায় এমবাপ্পে ও এন্ড্রিক এসেছেন। কিন্তু ফলাফল মিশ্রিত—একজনের সাফল্য সামান্য, আরেকজনের উপস্থিতি খুবই কম। আনচেলত্তি জানেন রিয়াল মাদ্রিদের চাপ কী এবং দলের সমস্যাগুলো কোথায় রয়েছে। মানসিকতা থেকে শুরু করে শারীরিক কন্ডিশন পর্যন্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে, যা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। অদ্ভুত বিষয় হলো, কয়েক মাস আগেও সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু এখন যেন সবকিছু পাল্টে গেছে।
গত শরৎকালে পরিস্থিতি এতটা উত্তেজনাপূর্ণ ছিল না। তবে তখনও আনচেলত্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয়েছিল আর শেষমেশ ক্লাব তার চুক্তি নবায়ন করে। এখন রিয়াল মাদ্রিদ পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছে যে পরবর্তী মৌসুমের জন্য কোনো কোচের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি এবং আনচেলত্তি চুক্তিতে রয়েছেন। কোচ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রিয়াল মাদ্রিদ সাধারণত মৌসুমের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেয়। আর আনচেলত্তির ক্ষেত্রেও সেটাই দেখা যাচ্ছে।