ভারতের ক্রিকেটে বিকল্প ভুরি ভুরি, বাংলাদেশে হাহাকার

বিকল্প – বাংলাদেশ ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখা যে কারো কাছে শব্দটা অতিপরিচিত। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বিকল্প নেই, পাইপ লাইন ভঙ্গুর এমন আলোচনা শুনে আসছে সবাই। সেজন্যই ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যর্থ হলেও টানা সুযোগ পেয়েছেন অনেক ক্রিকেটার। এমনকি বিকল্প নেই এই অজুহাতে অফ ফর্মে থাকা খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে ডাকার নিদর্শন আছে ৷

অথচ উল্টো চিত্র পাশের দেশ ভারতে; ধারাবাহিক পারফর্ম করেও জাতীয় দলে সুযোগ পান না অনেকেই। আবার কেউ যদি এক দুই ম্যাচ খারাপ করে তাঁকে বাদ দিয়ে আরেকজনকে একাদশে আনতেও এক মুহূর্ত ভাবতে হয় না টিম ম্যানেজম্যান্ট – এই স্বাধীনতা তাঁদের আছে, এটা তাঁদের শক্তিশালী পাইপ লাইনেরই ফলাফল।

রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মত বিশ্বসেরা তারকাদের বদলি নিয়েও দুশ্চিন্তা করতে হয়নি ভারতকে। দু’জনের অবসর নেয়ার সাথে সাথেই শূণ্যস্থান পূরণ করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিলরা। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে তাঁদের সেভাবেই গড়ে তোলা হয়েছিল।

কিন্তু বাংলাদেশে এমন বিলাসিতার সুযোগ কই, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে যারা বৈশ্বিক মানের পারফর্মার ছিলেন তাঁরা জাতীয় দলে আসতে আসতে কেমন যেন মিইয়ে যান। এই যেমন, তানজিদ হাসান তামিম – জয়সওয়ালের সঙ্গে একইসাথে ২০২০ যুব বিশ্বকাপ খেলেছেন। অথচ এখন তিনি কোথায় আর জয়সওয়াল কোথায়।

ভারতের কথা বাদ থাকুক, হালের আফগানিস্তানের অবকাঠামোও বোধহয় বাংলাদেশের চেয়ে ভাল। অন্তত বিকল্প নেই এমন অজুহাতে একগাদা ব্যর্থ ক্রিকেটারকে খেলাতে হয় না। যদিও এই লজ্জা ক্রিকেট কর্তারা গায়ে মাখেন না একটুও।

তবু কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে, দেশের ক্রিকেটকে অচল অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই প্রত্যাশিত সাফল্যের পথ খুঁজে পাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর সেটা সম্ভব না হলে হতাশার তলানিতেই থেকে যাবে টিম টাইগার্স, থেকে যাবে ফেভারিটের তালিকায় নিচের দিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link