ফাইনাল না রণক্ষেত্র? আকাশের চাঁদটা পেড়ে আনাই বরং সহজ!

টিকিটের জন্যে দীর্ঘ লাইন। এমনকি পুলিশের সাথে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে দর্শকরা। তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়েছে। কাঙ্খিত টিকিটের দেখাও পেয়েছেন অনেকে। 

বিপিএলের শুরুর দিকে মানুষের আগ্রহের ছিল কমতি। তবে সময় যত গড়িয়েছে আগ্রহ বেড়েছে দর্শকদের। মিরপুর জুড়ে দর্শকদের ভীড়। টিকিটের জন্যে দীর্ঘ লাইন। এমনকি পুলিশের সাথে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে দর্শকরা। তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়েছে। কাঙ্খিত টিকিটের দেখাও পেয়েছেন অনেকে।

সকাল থেকেই মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপচে পড়া ভীড়। সবাই এসেছেন ফাইনালের টিকিট ক্রয় করতে। তবে দিনের শুরুতে টিকিট কাউন্টার সংলগ্ন জায়গা থেকে ছড়িয়ে পড়ে টিকিট না থাকার গুঞ্জন। তাতেই পরিস্থিতি হয়েছে বেগতিক।

উত্তেজিত দর্শকরা স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেটের সামনের রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখে দীর্ঘক্ষণ। মিছিল ও স্লোগান দিয়েছেন টিকিট প্রত্যাশি জনগন। একটা পর্যায়ে দায়িত্বরত পুলিশদের উদ্দেশ্য করে গালাগালিও করেন গুটিকতক দর্শক।

তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে যানজটের মাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছিল। তাতে করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিণী মিছিল করতে থাকা জনগণকে ছত্রভঙ্গ করে দিতে বাধ্য হয়। তখনই বাঁধে সংঘর্ষ। প্রায় আধঘন্টা ধরে চলা সংঘর্ষে পুলিশ ও দর্শকদের অনেকেই আহত হয়েছেন। তবে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

অন্যদিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে স্থাপিত টিকেট কাউন্টারকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেলের বৃষ্টি বইয়ে দিয়েছেন টিকিট প্রত্যাশি দর্শকরা। তাতে করে মিরপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন এরিয়াতে থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শেষ অবধি সে পরিস্থিত সামাল দেয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

এরপর দর্শকরাও একটা পর্যায়ে খানিকটা শান্ত হয়ে সহয়তা করেছে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে। এরপরই সারিবদ্ধভাবে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট ক্রয় করতে শুরু করেন। টিকিটের ব্যাপক চাহিদা মাথায় রেখে একজন ব্যক্তিকে একটি করেই টিকিট প্রদান করা হয়।

রীতিমত যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে বিপিএলের টিকিট। সেই সোনার হরিণ প্রাপ্তিতে এক ফালি হাসিকে সঙ্গী করেই বাড়ি ফিরেছেন অনেকে। তাদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেছেন। অবশেষে টিকিট হাতে পেয়ে তারাও যেন স্বস্তি বোধ করছেন।

টিকিট পাওয়া একজন বলেন, ‘আমরা দু’জন সকাল আটটা থেকে এ জায়গায় আসছি। অনেক মারামারি হয়েছে, হাতেও ব্যথা পেয়েছি অনেক, অনেক সমস্যা হয়েছে। এখন ধৈর্য্য ধরার পর আমরা টিকিট পেয়েছি।’

বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে তবেই মিলেছে টিকিট। রীতিমত ঘেমে একাকার হয়েছেন টিকিট কিনতে আসা দর্শকরা। দর্শকদের এমন উন্মদনা অন্তত একটা জিনিসই প্রমাণ করে। বিপিএল অন্তত নিষ্ফলা নয়। তবে দর্শকদের চাহিদা একটাই- তারা বিসিবির এই টিকিটিং পদ্ধতির একটা সহজ সমাধান চান। এমন বিশৃঙ্খলা তারাও প্রত্যাশা করেন না।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...