রাহুলের দিল্লীর কাছে পান্তের লখনৌর অসহায় হার

জার্সিটা বদলে ফেললেই বদলে যায় নাম, বদলে যায় গল্পের প্রেক্ষাপট। রাহুলের কাছে পন্তের হার, দিল্লির কাছে লখনৌয়ের অসহায় আত্মসমর্পণ। তবে পুরনো দলের কথা কি মনে পড়ে দুজনের?

জার্সিটা বদলে ফেললেই বদলে যায় নাম, বদলে যায় গল্পের প্রেক্ষাপট। রাহুলের কাছে পান্তের হার, দিল্লির কাছে লখনৌয়ের অসহায় আত্মসমর্পণ। তবে পুরনো দলের কথা কি মনে পড়ে দুজনের?

টসে জিতে বোলিংকেই বেছে নেয় দিল্লী ক্যাপিটালস। তবে মার্শ-মার্করামের জুটি কিছুটা সময় প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে অক্ষরের সিদ্ধান্তকে। ৮৭ রানের ওপেনিং জুটি, এইডেন মার্কারামের ফিফটি—সবকিছু মিলিয়ে বড় লক্ষ্যর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল লখনৌ।

তবে হঠাৎ ছন্দপতন, মুকেশ কুমারের থাবায় একে একে উইকেট হারাতে থাকা লখনৌ পড়ে যায় চাপে। এদিন অফফর্মের তুঙ্গে থাকা রিশভ পন্ত নিজেকে আবিষ্কার করেন ফিনিশার হিসেবে।

তবে, আবারও শূন্য রানে আউট—শূন্যতায় যেন হারিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শেষদিকে আয়ুশ বাদোনির ২১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস স্কোরবোর্ডে লড়াকু একটা পুঁজি এনে দেয়।

দিল্লির লক্ষ্য ছিল ১৬০ রান। ফর্মে থাকা ব্যাটিং লাইনআপের কাছে সেটা খুব একটা কঠিন ছিল না। পোরেলের দারুণ ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় দিল্লি। ১৫ রান করে করুণ নায়ার ফিরে গেলেও বাকিটা সামলান কে এল রাহুল।

ঠাণ্ডা মাথায় ইনিংস বিল্ড-আপ, ধীরে ধীরে ম্যাচকে নিয়ন্ত্রণে আনা, দুর্দান্ত সব শট—সবকিছু যেন প্রতিদিন একই প্রশ্ন আর মুখস্থ করা উত্তর। ৪২ বলে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস—মাঠ ছাড়েন মাথা উঁচু রেখেই। দিল্লির জয় ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

এই ম্যাচের পর ঋষাভ পন্ত কি কোথাও নিজেকে খুঁজছেন? দিল্লীর পুরোনো জার্সি, ফেলে আসা স্মৃতি, সেই সাথে হারিয়ে ফেলা ফর্ম—সব মিলিয়ে অসহায় পন্তের প্রাপ্তি আসলে কোথায়? পান্তের ২৭ কোটিই বোধহয় সুচ হয়ে বিঁধছে বুকে।

লখনৌ হয়তো আফসোসেই পুড়বে। রাহুলকে ছাড়া যেন একপ্রকার ছন্নছাড়া এই দলটা। অভিমানী রাহুল হয়তো মেনে নিয়েছেন এবং মানিয়েও নিয়েছেন। তবে আজকের ম্যাচের পর পন্তের জ্বালাটা বুঝি একটু বেড়েই গেল।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link