অবশেষে পঞ্চাশ ওভার খেলতে পারলো বাংলাদেশ, টানা চার ম্যাচ পর অলআউট না হয়ে ইনিংস শেষ হল টাইগারদের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নয় উইকেটে ২৪৫ রান করতে পেরেছে সাকিব বাহিনী। আর এর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান আট নম্বরে ক্রিজে নেমে অপরাজিত ছিলেন শেষপর্যন্ত, করেছেন ৪৯ বলে ৪১ রান। আর এই ইনিংস খেলার পথে দুইটি চার এবং দুইটি ছয় হাঁকিয়েছেন তিনি। ১৮০ রানে সাত উইকেট হারানোর পরেও দল যে ২৪৫-এ পৌঁছাতে পেরেছে তার কারণ রিয়াদের এই পারফরম্যান্স।
সন্দেহ নেই, এই ডানহাতি আজ ভাল করেছেন। কিন্তু তাঁর অ্যাপ্রোচ নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। সেই সাথে সংশয় জেগেছে তাঁর স্ট্রাইক রোটেশন করার সামর্থ্য নিয়েও।
আটত্রিশ ওভারে তাওহীদ হৃদয় আউট হলে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন তাসকিন আহমেদ। এরপরই রিয়াদ কেমন যেন খোলসে ঢুকে পড়েন, বারবার স্ট্রাইক দেন তাসকিনকে। এই যেমন পুরো জুটিতে এই মিডল অর্ডার ব্যাটার খেলেছেন ২৪ বল এবং টাইগার পেসারকে খেলতে হয়েছে ১৯টি বল।
রিয়াদ যে নিজেই দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা করেননি সেটা নয়, তিনি চেয়েছেন কিন্তু পারেননি। ৪২তম ওভারে লোকি ফারগুসনের সব বল খেলেছেন একাই, কিন্তু একটার বেশি বাউন্ডারি বের করতে পারেননি। অথচ সেই ফারগুসনকে বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে ফেলেছিলেন তাসকিন।
একই ঘটনা ঘটেছে নবম উইকেট জুটিতেও। ট্রেন্ট বোল্টের ওভারের প্রথম চার বলে সিঙ্গেল না নিয়ে নিজেই বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটে বলে মেলবন্ধন হয়নি ঠিকঠাক।
শেষ দুই ওভারে দুই ছয় আসায় মাহমুদউল্লাহর স্ট্রাইক রেট খানিকটা ভদ্রস্থ হয়েছে, তবে এর আগে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল পঞ্চাশের কাছে। আরেকটু বেশি স্ট্রাইক রোটেট করতে পারলে হয়তো ৪৯ বলে অন্তত হাফ সেঞ্চুরি করতে পারতেন তিনি, সেই সাথে দল পেয়ে যেত ২৫০ রানের বেশি পুঁজি।
শেষদিকে ব্যাটার না থাকার অজুহাত হয়তো দেয়া যায় কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না। এই সময়টাতে এসে রক্ষণাত্বক অ্যাপ্রোচে খেললে দশবারে আটবার নিজ দলের ক্ষতিই হয় – এইদিকে তাই নজর দিতেই হবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানকে।
তার এপ্রোচ নিয়ে হয়ত আলোচনা হতে পারে। তবে বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজি এনে দেওয়ার পেছনে এদিন তার অবদানকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। শেষের দিকে নেমে গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংসই খেলেছেন রিয়াদ। তার খেলা ইনিংসে ভর করেই তো ২০০ পেরিয়েছে সংগ্রহ।