স্ট্রাইক রোটেটে নিজেদের সফল মানেন রিয়াদ

আগের ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ। তবে আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আরো বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয় পেয়েছে সফরকারীরা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন আজ জুটি গড়ে ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেই সফল হয়েছেন তাঁরা।

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২৩ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচে কোন পঞ্চাশ রানের জুটি পায়নি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছিলেন জুটি গড়তে না পারায় ম্যাচ হেরেছেন তারা। কিন্তু আজ ১৯৪ রান তাড়া করতে নেমে বেশ কয়েকটি জুটির কারণেই পাঁচ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসান ৫০ রানের জুটি গড়ার পর তৃতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। আর শেষে শামিম হোসেন পাটোয়ারি ও মাহমুদউল্লাহর ৩৭ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় বাংলাদেশ। এছাড়া আজ ১৮ টি চারের সাথে ৬ টি ছয় মেরেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

চাপ কমাতে ব্যাটসম্যানরা যেরকম বাউন্ডারি মেরেছেন তেমনি প্রয়োজনে স্টাইক পরিবর্তন করে শুধু সিঙ্গেল নিয়ে খেলেছেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক জানিয়েছেন সবই ছিল তাদের পরিকল্পনার অংশ। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেই সফল হয়েছেন তারা।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ছেলেরা মাঠে নিজেদের প্রমাণ করেছে। সবাই অবদান রেখেছে ও শেষ পর্যন্ত শামিম একটা গুরুত্বপূর্ণ নক করেছে। সব কিছু মিলিয়ে ভালো ব্যাটিং প্রচেষ্টা ছিল। আপনি যখন ১৯০ এর উপর রান করবেন তখন জুটি গড়া ও স্ট্রাইক রোটেট করা উচিত। প্রতিটা ওভারে বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করতে হবে। এটা ছিল আমাদের পরিকল্পনা।’

পুরো সিরিজ জুড়েই ব্যাটে বলে দুর্দান্ত ছিলেন সৌম্য সরকার। সিরিজের প্রথম ম্যাচে এক উইকেটের সাথে ম্যাচ জয়ী হাফ সেঞ্চুরি করার পর আজও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দুই উইকেট শিকার করার সাথে ক্যারিয়ার সেরা ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা হয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

তাই বাংলাদেশের অধিনায়কের চোখে দলের জন্য প্রয়োজনীয় অলরাউন্ডার তিনি, ‘সৌম্য একজন প্রয়োজনীয় অলরাউন্ডার। সে আমাকে দুটি উইকেট এনে দিয়েছে ও দলের প্রয়োজনে রান করেছে। পরের বায়ো বাবল ও সিরিজের দিকে তাকিয়ে আছি।’

সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে সিরিজে ফিরে এসেছিল জিম্বাবুয়ে। আজও এক পর্যায়ে জয়ের পথেই ছিল তারা। সিনিয়রদের ছাড়া তাই এমন পারফরম্যান্স করতে পেরে খুশি জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন এখন ভুল গুলো নিয়ে কাজ করে অনেক দূর যেতে চান তাঁরা।

রাজা বলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই আমরা অনেক উন্নতি করেছি। ১৯৩ রান এই ট্র্যাকে ভালোই নিরাপদ ছিল। ১৮তম তম ওভার পর্যন্ত আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমরা জিতব। শেষ দুটি ওভারে বেশি রান দেওয়াতে ম্যাচ হেরেছি। সিনিয়রদের ছাড়া কোন সিরিজ খেলা সহজ নয়। আশা করি আমরা ভুল গুলো সংশোধন করতে পারবো। আমরা শান্ত থাকলে অনেক দূর যেতে পারবো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link