ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩০ তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বয়সটা ৩৮ হলেও রান করতে একেবারেই ভুলে যাননি মাহমুদউল্লাহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঠিকঠিক ৫০ রানে থেকেছেন অপরাজিত। আপাতদৃষ্টিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংসই খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই। ৪৪ বলে ৫০ রানের একটা ইনিংস উপহার দিয়েছেন রিয়াদ। তরুণ জাকের আলী অনিকের সাথে জুটিও গড়েছেন বড়সড়। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৯৬ রান যুক্ত করেছেন এই দুইজনে মিলে। যাতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবদান ছিল ৩৪ বলে ৪৩ রান।
১১৩ এর একটু বেশি স্ট্রাইকরেটে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনটি করে চার ও ছক্কা, রিয়াদের এই ইনিংসের শোভা বাড়িয়েছে। কার্যকর একটা ইনিংস বলা যেতেই পারে। কিন্তু সত্যিই কি কার্যকর একটা ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ?
সত্যি বলতে তিনি যা করেছেন তার থেকে বেশি কিছু মাহমুদউল্লাহর পক্ষে করা সম্ভব নয়। ৩৮ বছর বয়সে এসে হ্যান্ড-আই কম্বিনেশনে মরিচা পড়েছে। সেটা স্বাভাবিক। তারপরও তিনি ৫০ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন। প্রথম বলে এসেই চার হাঁকিয়েছেন। তবে এর পরবর্তী ৫ রান সংগ্রহ করতে মাহমুদউল্লাহর সময় লেগেছে ১৫ বল।
৩৪ তম ওভারে ব্যাট করতে নামা একজন ব্যাটারের জন্যে রীতিমত অপরাধের সামিল। তবে মাহমুদউল্লাহ বেশ অভিজ্ঞ ব্যাটার। দীর্ঘদিন দলের জন্যে নিরবে নিভৃতে সার্ভিস দিয়ে গেছেন। তার জন্যে এই সামন্য পরিসংখ্যান উপেক্ষা করাই যায়। তবে ৪৬ তম ওভারে চার বল খেলে এক রান নেওয়া মোটেও সমীচিন নয়।
মাহমুদউল্লাহর বয়স বেড়েছে। তার সক্ষমতায় ক্ষয় ধরেছে। তার ক্ষয়ে যাওয়া শক্তিতে যতটুকু কুলায় তিনি ততটুকুই দলের জন্যে দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এখন এটা সম্পূর্ণ বাংলাদেশ দলের সিদ্ধান্ত, তারা আসলে ক্ষয়ে যাওয়ার মাহমুদউল্লাহতেই সন্তুষ্ট কি-না। এখানে রিয়াদের বিশেষ দোষ নেই। এখনও তিনি নিজেকে উজাড়ই করে দিচ্ছেন বটে।