রিয়াদের নির্ভার অবসর

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাঠ চুকিয়েছেন আগেই। ক্রিকেটের ময়দানে ব্যস্ততা কমেছে, দায়িত্বের ভারী বোঝাটা আজ আর নেই। এখন আর বাড়তি কোনো চাপ নিয়ে অনুশীলন করতে হয় না। যেন নির্ভার এক অবসর কাটছে তাঁর।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাঠ চুকিয়েছেন আগেই। ক্রিকেটের ময়দানে ব্যস্ততা কমেছে, দায়িত্বের ভারী বোঝাটা আজ আর নেই। এখন আর বাড়তি কোনো চাপ নিয়ে অনুশীলন করতে হয় না। যেন নির্ভার এক অবসর কাটছে তাঁর।

বয়সটা ৩৯ ছাড়িয়ে গেছে। তবে ফিটনেসে এখনও কোনো ঘাটতি নেই। শরীরী ভাষা বলে দেয়, এখনও লড়াই করার শক্তি আছে। তবে আন্তর্জাতিক মানসিক চাপ, ম্যাচের প্রতিদিনকার প্রস্তুতির হাড়ভাঙা খাটুনি থেকে এখন তিনি মুক্ত। তাই তো অবসরের এই সময়টা উপভোগ করছেন নিজের মতো করে।

সময়মতো প্রিয় ব্যাট হাতে চলে আসছেন মাঠে। করছেন ব্যাটিং ড্রিল, ঝালিয়ে নিচ্ছেন পুরোনো সব শট। কখনো দৃষ্টিনন্দন ড্রাইভের পসরা সাজাচ্ছেন, কখনো বা বড় শটের ঝড় তুলছেন।

তবে শুধু ব্যাট বলেই সময় কাটছে এমনও নয়। মিরপুরে অনুশীলনের ফাঁকে গল্প-আড্ডায় মেতে থাকছেন সতীর্থ, জুনিয়র কিংবা কোচিং স্টাফদের সঙ্গেও।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের সাক্ষী মাহমুদউল্লাহ, যাঁর ব্যাটে ভর করেই দল জিতেছে বহু রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। দেশের ক্রিকেটে হাসি-কান্না, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বহু গল্প জুড়ে তিনি আছেন। রিয়াদের এই উপস্থিতি নতুনদের জন্য আশীর্বাদও বটে।

জুনিয়ররা ঘিরে ধরছেন, পরামর্শ নিচ্ছেন। তিনিও অকপটে নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে হয়তো অনুপ্রেরণার গল্পগুলো বের করে দিচ্ছেন জুনিয়রদের।

খেলা নেই, কোনো দলের অংশ নন—তবুও ক্রিকেট তাঁকে ছাড়েনি। ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে যাঁর দিন শুরু হতো ব্যাট-বল আর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে, হুট করেই তো আর সব কিছু গুটিয়ে ফেলা সহজ কথা নয়। তাই হয়তো সময় পেলেই ছুটে আসেন সেই পুরোনো ঠিকানায়।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link