সাল ২০১৩, ওয়েম্বলির এফএ কাপ ফাইনাল। নব্বই মিনিট পেরিয়ে, অতিরিক্ত সময়ে আরো এক মিনিট হতে চললো। ঠিক সেই মুহুর্তে কর্ণার আদায় করে নিলো উইগান অ্যাথলেটিক। কালক্ষেপণ না করেই দ্রুত দৌড়ে গিয়ে কর্ণার নিলেন শন মালোনি। বক্সের ভিতর একটু খালি জায়গায় দৌড়ে গিয়ে ভেসে আসা বল-কে গোল পোস্টের দিকে মাথায় আলতো ছোঁয়ালেন বেন ওয়াটসন।
তাতেই বাজিমাত! স্তব্ধ ম্যানচেস্টার সিটির রক্ষণের কান্ডারিরা। জো হার্ট, কোম্পানি, ইয়াহিয়া তোরে হতে সিলভা, আগুয়েরো তেভেজ! কেউ বুঝছে না কি প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। সাইডলাইনে বিরক্তি নিয়ে উশখুশ করছেন রবার্তো মানচিনি। মাত্র কয়েক সেকেন্ড বাকি, স্কোরলাইনে উইগান ১-০ গোলে এগিয়ে।
অবশেষে শেষ বাঁশি দিলেন রেফারি। গোটা ত্রিশেক হাজার ল্যাটিশ সমর্থকের বিজয় উল্লাসে ওয়েম্বলি তখন রীতিমতো কাঁপছে। অন্যদিকে নীল শিবিরে পিনপতন নীরবতা, মাঠ ছাড়ার হিরিক৷ ক্যামেরা পজিশনও আর সিটির ডাগআউটে নেই, ঘুরে গেল উইগান ম্যানেজারের দিকে।
হ্যাঁ, রবার্তো মার্তিনেজের দিকেই! আনন্দে আত্মহারা মার্তিনেজ ততক্ষণে স্টাফদের জড়িয়ে ধরে আবেগে হাবুডুবু খাচ্ছেন। ক্লাবের ৮১ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে প্রথম কোনো মেজর শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব! ইতিহাস সাক্ষী থাকলো মার্তিনেজের শিষ্যদের তৈরি দারুণ এক মহাকাব্যের।
অথচ উইগান অ্যাথলেটিকের মৌসুমের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোনোভাবে লিগে রেলিগেশন এড়ানো। আসলে প্রতিবারই মৌসুমের শুরুতে এটাই একমাত্র লক্ষ্য ক্লাবের, পাশাপাশি যদি লিগ কাপ ও এফএ কাপে কিছুটা ভালো করে বড় স্পন্সরদের ধরে রাখা যায়। ইংলিশ ফুটবলে উইগান এর মতো কম বাজেট ও বিলো এভারেজ দলের এর চেয়ে বেশি কিইবা চাওয়ার আছে, করার আছে!
তৎকালীন ম্যানেজার রবার্তো মার্তিনেজ ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছেন টানা চার মৌসুম হতে চললো। তিনি অবশ্য আঠারো বছর আগে ক্লাবটিতে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছিলেন খেলোয়াড় হিসেবে৷ ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় সময় এই দলেই কাটিয়েছেন৷ ক্লাবের পুরাতন মাঠ স্প্রিংফিল্ড পার্ক হতে আজ রবিন পার্ক এর নতুন মাঠটি, সবই তার নখদর্পনে। তাই সমর্থক ও ক্লাব কতৃপক্ষের কাছে একেবারে ঘরের ছেলের মতোই বিবেচিত হন তিনি।
কিন্তু এবার বোধহয় লক্ষ্য পূরণ হল না। দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই রেলিগেটেড জোনে উইগান বেশ ভালোভাবেই অবস্থান করছে। আট বছর পর আবারো প্রিমিয়ার লিগ থেকে রেলিগেট হওয়ার জোড়ালো সম্ভাবনা। কিন্তু এরপরেও এখনো সমর্থকদের মধ্যমণি মার্তিনেজ।
কারণ ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম কোনো বড় অধ্যায় লেখার দ্বারপ্রান্তে তিনি ও তার শিষ্যরা। লীগের পথচলা যতই কণ্টকাকীর্ণ হোক, এদিকে গুটি গুটি পায়ে এফএ কাপের ফাইনালে ঠিকই পৌঁছে গেছে ল্যাটিশরা। ক্লাবের ৮১ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনো মেজর শিরোপা জেতার হাতছানি! তাছাড়া মর্যাদার এফএ কাপের ফাইনালেও প্রথমবারের মতো খেলবে দলটি। এতেই রেলিগেশনের খবর মোটামুটি সবাই ভুলতে বসেছে, অনেক ফ্যানের দাবী এরকম স্কোয়াড নিয়ে এতোটুকু আসাটাই তো চ্যালেঞ্জের৷
ফাইনাল খেলতে হবে জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটির সাথে। ইংলিশ ফুটবলে ততদিনে সিটির নবজাগরণ সবাই দেখে ফেলেছে। বিগত তিন মৌসুমে লিগ চ্যাম্পিয়ন, লিগ কাপ এবং এফ এ কাপ, সবই তারা নিজেদের শোকেসে তুলে আধিপত্যের জানান দিয়েছে। এই মৌসুমে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে হয়তো লিগ শেষ করতে হবে৷ তাই এফএ কাপ জিতেই যথারীতি মৌসুম শেষ করতে চাইবে রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা। মিলিয়ন ডলার খরচ করে দল সাজিয়ে ক্লাব কতৃপক্ষের নিকট ট্রফিলেস মৌসুম নিশ্চিতভাবেই কাম্য নয়।
অবশ্য ম্যানসিটি যেন অতিকায় দৈত্যের নাম। সামনের সারিতে সার্জিও আগুয়েরো, কার্লোস তেভেজ ও এডিন জেকোর মতো বিশ্বমানের ক্ষুরধার ফরোয়ার্ড। মধ্যমাঠ সেতো যেন এক অপূর্ব বাগান, যা সাজানো হয়েছে ডেভিড সিলভা, নাসরি ও ইয়াহিয়া তোরেকে দিয়ে৷ আর পেছনের সারিতে কোম্পানি, কোলো তোরে, জাবালেতা, ক্লিচি, লেসকটদের উপস্থিতি, গোলবারের নিচে প্রাইম জো হার্ট। আর ডাগআউটে একজন মাস্টার মাইন্ড রবার্তো মানচিনি! নিজেরা ঠিকঠাক খেললে উইগান এর মতো দলের তো উড়ে যাওয়ার কথা।
অপরদিকে উইগানের অখ্যাত দলে উল্লেখ করার মতো কিছুই নেই। গোলবারে জোয়েল রোবেলস আর সামনের সারিতে ক্যালাম ম্যাকম্যানাম্যান, দুজনই তরুণ, প্রাণবন্ত ও প্রতিভাবান। ফরোয়ার্ডে আরুওনা মাঝে মাঝে ভেলকি দেখান বটে। শন মালোনি ঠিকঠাক সেট পিসটা নেন, বামপাশে এপ্সিওনোজা ভালো গতি নিয়ে উপরে-নিচে নামতে পারেন। মধ্যমাঠ জ্যামস ম্যাকার্থি আর ম্যাকার্থার মোটামুটি সামলে নেন।
আর ব্যাক লাইনে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এমারসন বয়েস। ছয় মাস আগে পা ভেঙে মৌসুম থেকে একপ্রকার ছিটকে পড়া দলের মূল ফরোয়ার্ড বেন ওয়াটসন ফিট হয়েছেন খেলার জন্য। এই হলো সিটির বিপক্ষে মার্তিনেজের সর্বসাকুল্যে রসদ, তবে বারুদহীন। যে দল লিগে ৩৬ ম্যাচে সর্বসাকুল্যে সংগ্রহ করেছে মাত্র ৩৫ পয়েন্ট!
তাই সবদিক বিশ্লেষণে অনেকের মতে এফএ কাপ ফাইনালটি কেবলই নিয়মরক্ষার, পরিষ্কার ফেভারিট ম্যানচেস্টার সিটির ঘরেই শিরোপা যাচ্ছে তা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই৷
কিন্তু রবার্তো মার্তিনেজ ইতিহাস তৈরির মুহুর্তকে এত সহজে ছেড়ে দিতে চাইলেন না। লীগ কাপে সেমিতে গিয়ে হার জুটেছে। প্রিমিয়ার লীগে টিকে থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। তাছাড়া এতটুকু লড়াই করে আসার পর খালি হাতে ফেরার সুযোগ নেই। তাই ফাইনালকে সিটির জন্য রীতিমতো কঠিন করে তোলার সবধরনের আয়োজন শুরু করলেন তিনি। অনুপ্রেরণায় কেবল বিগত লিগ ম্যাচটি।
যেখানে কপালে হার জুটলেও, ব্যবধান ছিল মাত্র এক গোলের। উইগান যথেষ্ট ভালো খেলেছিলো৷ তারপরেও তিনি স্পষ্টতই বুঝেছিলেন লড়াইটা যতটা না ট্যাকটিক্যাল, তার চেয়ে বেশি মনস্তাত্ত্বিক। কারণ সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতার বিচারে যোজন যোজন পিছিয়ে আছে তার দল। সেটা নিয়ে খুব বেশি না ভেবে, মানসিকভাবে যদি শক্ত থাকা যায় তাহলে ইতিবাচক ফলাফল বেরিয়ে আসবে৷
এই কাজটি সফল করতে দলে খুব দ্রুতই অতীতে ফুটবল দল নিয়ে কাজ করেছেন এমন একজন মনোবিদ নিয়োগ দিলেন মার্তিনেজ। আর ম্যাচের দিন সিনেমার মতো একটি কান্ডও ঘটে গেলো! দলের সকল খেলোয়াড়েরা ভোরে ঘুম ভেঙে দেখলেন, তাদের রুমের দরজার নিচ দিয়ে কেউ যেন খাম রেখে গেছেন। খামের ভেতরে রাখা কাগজে অনেককিছু লেখা৷ প্রত্যেকেই সেই লেখা পড়ে মুহুর্তেই উজ্জীবিত হয়ে উঠলেন।
আজকের ফাইনালটি যেকোনো মূল্যে নিজেদের করবেন তাই যেন পণ করে বসলেন সবাই৷ মূলত খেলোয়াড়দের মাঝে অনুপ্রেরণা আনতে মনোবিদের সাথে ছকটি কষেছিলেন মার্তিনেজ৷ ক্লাবের একদম তৃণমূল কর্মী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকলকে দিয়ে কাগজগুলোতে লেখা হয়েছিলো নানান আবেগপূর্ণ কথা, কেন খেলোয়াড়দের নিয়ে তারা গর্বিত এসব বিষয়।
কিন্তু, খামে কারো নাম উল্লেখ ছিল। এভাবে এক নির্দিষ্ট আবেগের বেড়াজালে সবাইকে একবিন্দুতে নিয়ে এসেছিলেন তিনি, যেখানে লক্ষ্য ছিল কেবল জয় ছিনিয়ে আনার! দলের স্পিরিট তখন আকাশচুম্বী।
তাছাড়া ম্যাচ শুরুর আগে, ড্রেসিংরুমে মার্তিনেজ ঢোকার পর খুব বেশি ট্যাকটিক্যাল আলোচনা করলেন না। কাউকে বললেনও না তোমাকে এভাবে খেলতে বা ওভাবে খেলতে হবে। কোনো বিশেষ পরিকল্পনা নেই, চাওয়া নেই।
শুধু বললেন, ‘সকলে চোখ বন্ধ করো আর ভাবো, ছোটবেলায় কোনো পার্ক কিংবা রাস্তায় খেলার সময় তোমরা হয়তো আজকের দিনটির কথা কল্পনা করেছিলে। গোল দেয়ার পর যে উদযাপন করতে, মনে হতো যেন এফএ কাপের ফাইনালের মহামঞ্চে গোল দিয়েছো। আজকে তোমাদের সামনে সত্যিই সেই দিনটি এসেছে৷ ইতিহাস তৈরির সুযোগ এরকম জীবনে একবারই আসে। এমনভাবে খেলো, যেন আগামী দিনেও উইগান আতলেটিক ক্লাবে তোমাদের নামে জয়ধ্বনি ওঠে। নিজেদের লিগ্যাসিকে প্রতিষ্ঠা করো।’
ড্রেসিংরুমের পরিবেশ থেকে খেলোয়াড়দের মেজাজ, তখন একজন মার্তিনেজের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে৷ ম্যান ম্যানেজমেন্ট স্কিলে তিনি কতটা অসাধারণ শুধু এই একটি ঘটনা দিয়েই প্রমাণিত হয়।
ওয়েম্বলি জুড়ে হঠাৎ এতো ল্যাটিশ সমর্থক দেখে সকলেরই চোখ ছানাবড়া! আসলে উইগান শহরে তৎকালীন মোট জনসংখ্যা ছিল মাত্র আশি হাজার। অথচ সেদিন মাঠে উপস্থিত ত্রিশ হাজারের অধিক দর্শক৷ ক্লাব কতৃপক্ষের কাছেও ঘটনাটি রীতিমতো অবিশ্বাস্য ছিল। কিন্তু নিজেদেরই একজন বনে যাওয়া মার্তিনেজের আহ্বান কি উপেক্ষা করা যায়!
ম্যাচের জন্য মানচিনি চিরাচরিত ৪-২-৩-১ ফরমেশন নিয়ে দল সাজালেন। তার সাজানো মূল একাদশের সাত জন খেলোয়াড়ই দুবছর আগে এফএ কাপ জয়ী দলের সদস্য। কিন্তু সিটিকে পরাস্থ করতে মার্তিনেজ ৩-৪-১-২ এর মতো এক ভুতুড়ে ফরমেশন নিয়ে আসলেন! ম্যাচের শুরু থেকেই দুই সাইড মিড ক্রমান্বয়ে নিচে নেমে ব্যাক লাইনে সাহায্য করতে লাগলো, আর সিটির উইঙ্গারদের মোটামুটি নাকানিচুবানি খাওয়ালো।
একইভাবে তারা আবার মিডেও খেলছে। ডিফেন্সে তিনজনের সাথে আবার একজন ডিফেন্সিভ মিড যুক্ত হয়ে চারজনের কাজ করছে। আবার বল পেয়ে কাউন্টারে উইগান উঠছিলো খুব সহজে, কারণ সামনেই দুজন বলের অপেক্ষায় তটস্থ দাঁড়িয়ে আছে। ম্যাচের শুরুতেই বল পেয়ে তারা কয়েক আক্রমণে কাঁপন ধরিয়েছে সিটির দুর্গেও!
খেলা যেন প্রথম মিনিট থেকেই সমানতালে চলছিলো৷ বল পজিশনে সিটি সার্বিকভাবে এগিয়ে থাকলেও, ফারাক খুব বেশি ছিল না। পুরো ম্যাচে দুদলই সমান ১৫ টি শট নিয়েছে। যেখানে সিটির অন টার্গেট শট ছিল ১২ টি, বিপরীতে উইগান ৭ টি শট নিয়েছিলো। কর্ণার সিটি ৫ টি আদায় করেছে তো, উইগান ৩ টি।
ম্যাচের সময় পরিক্রমায় মানচিনি যেন বুঝেই উঠতে পারছিলেন না কিভাবে উইগান-কে বশে আনবেন৷ তাছাড়া কিছু সহজ মিস আরো বেশি ব্যাকফুটে ঠেলে দিলো সিটিকে। ওদিকে নিজেদের লাইনে উইগানের কাউন্টার থামাতে ফাউলের পর ফাউল করে গেছে সিটি। অত:পর আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে দৃষ্টিকটু ফাউলের জাবালেতার পর পর দুটি কার্ড৷ দশজনের সিটিকে ছিটকে দিতে আর বেশি সময় নেয়নি উইগান।
বদলি হিসেবে মাঠে নামা সুপার সাব বেন ওয়াটসন কাঙ্ক্ষিত গোলকে পরিণতি দিয়ে সিটির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন নব্বই মিনিটে তথা একেবারে শেষ মুহুর্তে। সেখান থেকে আর দলকে ফিরিয়ে আনার কোনো সুযোগ ছিল না মানচিনির। ম্যাচটি প্রসঙ্গে সিটি ডিফেন্ডার লেসকট বলেছিলেন, উইগান ট্যাকটিক্যালি আমাদের সাথে যেভাবে খেলেছে, পুরো মৌসুম আর কোনো দলই এভাবে খেলতে পারেনি৷
এরপর যা হয়েছে তা সবই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। অপ্রত্যাশিত হারের কারণে সিটির ট্রফিলেস সিজন। সাড়ে তিন বছর শেষে ইত্তিহাদ হতে মানচিনির বরখাস্ত হওয়া কিংবা লিগ শেষে উইগানের রেলিগেশন কোনোটিই ঠেকানো যায়নি।
এবারের ইউরোর মঞ্চে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি আবারো সেই মানচিনি ও মার্তিনেজ। দিদিয়ের দেশম ও জোয়াকিল লো এর বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্বকে একপাশে সরিয়ে রাখলে, এটা যে কেউ স্বীকার করে নিবে অভিজ্ঞতা ও অর্জন বিচারে ইউরোর সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল কোচের নাম সম্ভবত রবার্তো মানচিনি।
তাছাড়া ইতালির খেলায় নববিপ্লব এনেছেন, টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকেই দৃষ্টিনন্দন ফুটবল দিয়ে হরহামেশাই প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। মানচিনির হাত ধরে পুনর্জন্ম হওয়া ইতালির আক্রমণাত্মক রূপ মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করছে সবাই। অপরদিকে আট বছরে রবার্তো মার্তিনেজ ম্যানেজার হিসেবে আরো পরিণত।
বেলজিয়াম জাতীয় দলকে ইতোমধ্যেই তাঁদের ইতিহাসের সেরা প্রাপ্তি বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থানটি এনে দিয়েছেন। তার অধীনে দীর্ঘদিন ফিফা র্যাংকিংয়ে শীর্ষে আছে বেলজিয়াম। হ্যাজার্ড-ব্রুইনার ইনজুরিতে কপাল একটু কুঁচকানোরই কথা। কিন্তু অতীতের অসাধ্য সাধন, তার জন্য বড় আত্মবিশ্বাসের কারণ হতে পারে। তাই মানচিনির বিপক্ষে এফএ কাপ ফাইনালের সুখস্মৃতি কি ফিরিয়ে আনতে পারবেন মার্তিনেজ নাকি মানচিনি তার মধুর প্রতিশোধ নেয়ার মোক্ষম প্লাটফর্ম ও সময় দুটোই পেয়ে গেছেন!
রবার্তো মানচিনি বনাম রবার্তো মার্তিনেজ, দ্বৈরথের অপেক্ষায় থাকলাম।