শিরোনাম দেখে হয়ত ভাবছেন, এ কিভাবে সম্ভব! দু’জন দুই প্রজন্মের ক্রিকেটার।নিজ নিজে দেশের কিংবদন্তি। বিনি ভারতীয় ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সম্প্রতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে সরিয়ে হয়েছেন বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার ((বিসিসিআই) ৩৬ তম সভাপতি। অপরদিকে শহীদ আফ্রিদিকেও পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই
তবে ভিন্ন প্রজন্মের এই দুই ক্রিকেটার মাঠের খেলায় নন বরং মাঠের বাইরে কথার খেলায় মেতে উঠেছেন।আর সেই খেলাতেই বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনি, একরকম ছক্কায় হাকিয়েছেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির করা এক মন্তব্যের বিপক্ষে।
বিতর্ক যেন এবারের বিশ্বকাপের অপর নাম। বিতর্ক বাদে একটা দিনও পার হচ্ছে না, প্রতিদিন এক একটা নতুন বিষয় এ বিতর্কের জন্ম হচ্ছে। মূলত পাকিস্তানি এই তারকা অলরাউন্ডার নাখোশ ছিলেন পাকিস্তানের ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকেই।
এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের খেলায়,পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল সোমা টিভিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আফ্রিদি। সেখানে তাকে যখন প্রশ্ন করা হয়,আইসিসি ভারতকে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট গুলোতে সবসময়ই কিছুটা বাড়তি সুবিধা দেয় কি না,প্রশ্নের জবাবে আফ্রিদি সরাসরি কিছু না বললেও তিনি বলেন, ‘দেখুন,কিছু জিনিস আমরা সবাইই চোখের সামনে দেখতে পায়। এই যে আজ (বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দিন) সাকিব কিন্তু আম্পায়ার এর সাথে জোরে জোরে কথা বলছিল, যেটা স্ক্রিনেও দেখাচ্ছিল। সে চায় নি, বৃষ্টি শুরুর পর এত তাড়াতাড়ি মাঠে নামতে।কিন্তু আইসিসি যেকোন ভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে তুলবেই!’
আফ্রিদির এই মন্তব্যে সমস্ত ভারত জুড়ে শুরু হয়েছিল তীব্র সমালোচনা। কিন্তু উচ্চ পর্যায়ের কেউই সরাসরি কোন কথা বলেন নি এই নিয়ে।কিন্তু নীরবতা ভেঙে আজ সরাসরি আফ্রিদির কথার তীব্র সমালোচনা করে বিনি বলেন, ‘দেখুন অনেকেই অনেক কথা বলেই,বলবেই। কিন্তু তাদেরকে দেখাতে বলুন, ভারত কোথায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে? কোন কোন জায়গায়? দেখাতে বলুন! পারবে না! কেননা, ভারত কোন বাড়তি সুবিধা পায় না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘হ্যা এটা সত্য যে ভারত ক্রিকেটের অন্যতম এক পরাশক্তি। তবে এও সত্য যে এর জন্য ভারত অন্যান্য দলের তুলনায় বাড়তি কোন সুবিধা পায় না।বরং অন্যান্য দেশ যা পায়, ভারতও তাই-ই পায়!’