বয়স হলেও ট্রেনিং ভোলেননি রোনালদিনহো

আবারও মাঠে নেমে ভেলকি দেখালেন তিনি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তার ট্রেডমার্ক স্টাইলের ডান পায়ের কার্ল ফ্রি-কিকটা নিঃস্ব হয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না প্রতিপক্ষের।

অবসর তো অনেক আগেই নিয়েছেন, তবে ট্রেনিং ভুলে যাননি রোনালদিনহো গাউচো। তাই তো আবারও মাঠে নেমে ভেলকি দেখালেন তিনি। লিজেন্ডস এল ক্ল্যাসিকোতে হৃদয় রাঙিয়ে দেয়ার মতই একটা গোল করছেন। তাঁর ট্রেডমার্ক স্টাইলের ডান পায়ের কার্ল ফ্রি-কিকটা নিঃস্ব হয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না প্রতিপক্ষের।

২০১৫ সালে সর্বশেষ পেশাদার ফুটবল ম্যাচ খেলেছিলেন রোনালদিনহো। নামের পাশে আছে অসংখ্য অর্জনের গৌরব। এই যেমন ৬৬ টি ফ্রি-কিক গোল স্কোরার তিনি, ফুটবল ইতিহাসে যা চর্তুথ সবোর্চ্চ। সম্প্রতি কাতারে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের লিজেন্ডসদের মধ্যে একটা প্রতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। রোনালদিনহো, লুইস ফিগো, রিভালদোদের নিয়ে যেন তারার হাট বসেছিল মরুর দেশটায়।

শুরুতেই হুয়ান পাবলোর গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। ৪০ মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সবাইকে অবাক করে আরো একবার বল জালে জড়ালেন ৪৪ বছর বয়সী রোনালদিনহো। ঠিক যেন সেই পুরানো দিনের গল্প, তরুন রোনালদিনহোর ফ্রি-কিক ঠেকাতে ওয়াল দিয়ে দাড়াঁতেন রিয়ালের রথি, মহারথীরা। তবুও ঠিকই জাল খুজে নিতেন রোনালদিনহো। দর্শকদের স্মৃতির জানালায় যেন আরেকবার উঁকি দিলেন তিনি।

অদ্ভুত বিচিত্র এক ক্যারিয়ার রোনালদিনহোর। ব্যালন ডি’ অর, বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগ সবই জিতেছিলেন। দুই পায়ে বলের কারিকুরিতে মনে হত শিল্পী যেন মাঠে তুলি দিয়ে রঙের প্রলেপ দিচ্ছেন। ফুটবলকে শুধু কথা বলানোটাই শুধু বাকি রেখেছিলেন তিনি এমন প্রশংসাও করেন অনেকে।

তবে সফলতার আলোতে তিনি যেমন উজ্জ্বল। সমালোচনার দিকটাও ঠিক ততটাই অন্ধকার, নোংরা। নেশা, নারী, জুয়া তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয় অনেক আগেই। গত আগস্টেই পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে প্যারাগুয়ে তে গৃহবন্দিও ছিলেন।

সেখান থেকে মুক্তি পেয়েই কিছুদিনের মধ্যে নামলেন মাঠে। পুরো ম্যাচ মাতালেন দর্শকদের। বুঁদ করে রাখলেন দুই পায়ের কারিকুরিতে। রোনালদিনহোরা বুট জোড়া হয়ত তুলে রাখেন কিন্তু ফুটবলটা যেন অন্তস্থলেই রয়ে যায়। যা হারায় ও না, কখনো মরিচাও ধরে না।

Share via
Copy link