প্রতিভাই শেষ কথা নয়, প্রবল ইচ্ছাশক্তিই পারে সেরা বানাতে। ক্রিকেটের মোহাম্মদ সিরাজ হয়তো এটাকে মূলমন্ত্র হিসেবে মানেন। তবে এই ইচ্ছাশক্তির বীজটাতো বুনেছিলেন ফুটবলের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
ফুটবল মাঠে তাঁর গোল সংখ্যা, সাফল্যের সমীকরণ, ব্যালন ডি’অর কিংবা রেকর্ডের পাহাড়—সবকিছুই যে এসেছে বিশ্বাস আর পরিশ্রমের বিনিময়ে। অকপটে অনেকবারই স্বীকার করেছেন, প্রতিভা বলতে তেমন কিছু ছিল না তাঁর।
যখন সবকিছু শেষ হয়ে যায়, সেখান থেকেও তো গল্প লেখা যায়, নিশ্চিত পরাজয় জেনেও লড়ে যেতে হয়, খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে হয়। সবাই মুখ ফিরিয়ে নিলেই তো লড়াই শুরু হয়, যার হাতিয়ার কেবল ‘বিশ্বাস আর পরিশ্রম।’ রোনালদোর ‘চরিত্র’ তো শিখিয়েছে এটাই, যা ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বমহলে।
তাই তো মোহাম্মদ সিরাজ জয়ের মুকুট মাথায় পরে বলেন, ‘আমার মতো হেরে যাওয়া, পিছিয়ে পড়া মানুষদের শক্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।’
এই সিরাজই তো বারবার ভিলেন হয়েছেন, অনেক জেতা ম্যাচই তাঁর ভুলের জন্য হেরেছে দল, কত ম্যাচই তো জেতার ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। তবে সমালোচনায় জর্জরিত এই সিরাজই আবার ফিরে এসেছেন। জয়ের গল্প লিখেছেন, গ্যালারির দর্শকরা বরণ করেছে নায়ক হিসেবে।
জীবনের সহজ হিসাব, পরাজিতদের কেউ মনে রাখে না। তাই তো জেতার বিকল্প নেই। সেরাদের সেরা হতে গেলে তো আগে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে, বড় স্বপ্ন দেখতে হয়।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এই ব্রত নিয়েই অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছেন। অনেক হেরে যাওয়ারাই তাঁর এই মন্ত্রবলে জিততে শিখেছে। দিনশেষে একটা জিনিসই সবাই মেনে নিয়েছে— হারার আগে হারতে নেই।