রেকর্ড, তোমায় নিমন্ত্রন!

সাদা বলের ক্রিকেটে যিনি একেবারেই অনিয়মিত মুখ। চলতি বছর ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা রুট এখন দাঁড়িয়ে আছেন রেকর্ড ছোঁয়ার অপেক্ষায়। আর মাত্র ২৪৮ রান করলেই সাবেক পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ ইউসুফকে টপকে এক ক্যালেন্ডার বছরে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক হবেন রুট।

টেস্ট ক্রিকেটের জৌলুশটা যেনো দিন দিন কমছে। বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ঝুঁকছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দিকে। ফ্র‍্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যুগে অনেক ক্রিকেটারদের মাঝেই দেখা গেছে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি অনীহা। তবে টেস্ট ক্রিকেটকেই আপন করে নিয়ে রানের ফোয়ারা ছুঁটিয়ে চলেছেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট।

সাদা বলের ক্রিকেটে যিনি একেবারেই অনিয়মিত মুখ। চলতি বছর ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা রুট এখন দাঁড়িয়ে আছেন রেকর্ড ছোঁয়ার অপেক্ষায়। আর মাত্র ২৪৮ রান করলেই সাবেক পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ ইউসুফকে টপকে এক ক্যালেন্ডার বছরে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক হবেন রুট।

২০০৬ সালটা সাদা পোশাকে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা সময় পার করেছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ ইউসুফ। লাল বলের ক্রিকেটে এক বর্ষে করেছিলেন ১৭৮৮ রান! ক্যারিবিয়ান তারকা ভিভ রিচার্ডসের ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে এক বছরে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে নিজের নাম লিখিয়েছিলেন ইউসুফ। সাদা পোশাকে পুরো বছরটাই কেটেছিলো একদম রঙিন।

১১ টেস্টে ১৯ ইনিংসে ১ ডাবল সেঞ্চুরি, ৮ সেঞ্চুরি আর ৩ ফিফটি! ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ যার বিপক্ষেই খেলেছিলেন ব্যাট হাতে দোর্দণ্ড দাপট দেখিয়েছিলেন ইউসুফ। রিকি পন্টিং, শচীন টেন্ডুলকার, কুমার সাঙ্গাকারা, বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথের মতো তারকারাও এই রেকর্ড ভাঙতে পারেননি।

দীর্ঘদিন ধরেই ইউসুফের নামে অক্ষত আছে এই রেকর্ড। তবে ১৫ বছর পর হটাৎ ইউসুফের এই রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা জেগেছে রুটের ব্যাটে। চলতি বছর টেস্টে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় পার করছেন রুট। অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ২৫ ইনিংসে ৬৭ গড়ে ১৫৪১ রান করেছেন রুট।

ছয় সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে ২ ফিফটিও। ইউসুফের রেকর্ড ভাঙতে রুটের প্রয়োজন মাত্র ২৪৮ রান! তবে এর জন্য রুটের সামনে চলতি বছর আছে আর মাত্র দু’টি টেস্ট। এই দুই টেস্টে ২৪৮ রান করতে পারলেই মোহাম্মদ ইউসুফের রেকর্ড গুড়িয়ে এক ক্যালেন্ডার বছরে সাদা পোশাকের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হবেন রুট।

তবে সেটি করতে না পারলে আপাতত অক্ষতই থাকবে ইউসুফের রেকর্ড। এর আগে গ্রায়েম স্মিথ, মাইকেল ক্লার্ক, শচীন টেন্ডুলকাররা কাছাকাছি গেলেও এই রেকর্ড ভাঙতে পারেননি। ২০০৮ সালে সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ ১৬৫৬ রান করেছিলেন! কাছাকাছি গিয়েও রেকর্ড গড়তে পারেননি তিনি। পরবর্তীতে ২০১০ সালে শচীন ১৫৬২ ও ২০১২ সালে সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ১৫৯৫ রান করেন। সম্ভাবনা জাগালেও কেউই ছুঁতে পারেননি ইউসুফের সেই রেকর্ড।

রুটের জন্য অবশ্য সামনের পথটা খুব সহজও নয়। অস্ট্রেলিয়ার ডেরায় বাকি ২ টেস্টে করতে হবে এই রান। প্যাট কামিন্স, মিশেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, নাথান লিঁওদের সামনে ভীত গড়ে ইউসুফের রেকর্ড ভাঙতে পারেন কিনা রুট সেটাই এখন দেখার বিষয়।

চলতি বছর ব্যাট হাতে উড়ন্ত ফর্মে আছেন এই ইংলিশ অধিনায়ক। ফর্ম বিবেচনায় অনেকের মতেই ইউসুফের রান ছুঁয়ে ফেলবেন রুট। তবে খেলাটা যখন অস্ট্রেলিয়ার ডেরায়, চ্যালেঞ্জটাও যে দ্বিগুন! প্রথম টেস্ট জয়ে দারুণ ছন্দে থাকা অজিদের সামনে রুট পালটা দাপট দেখাতে পারেন কিনা সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...