সালাহর দাপটে ম্যানসিটির আরো একটা হার

ধুঁকতে থাকা ম্যানসিটি যে অ্যানফিল্ডে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে সেটা প্রত্যাশিতই ছিল; সেই সাথে প্রত্যাশিত ছিল মোহামেদ সালাহর জ্বলে উঠাটাও। বছরের পর বছর যায়, মৌসুমের পর মৌসুম পার হয় কিন্তু তাঁর ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে না। ব্যতিক্রম হয়নি এদিনও; সিটির বিপক্ষে একা হাতে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন তিনি।

কোন কিছুতেই কিছু হচ্ছে না, কোন পরিকল্পনা কাজে আসছে। ম্যানচেস্টার সিটির সাথে জয়ের দেখা হচ্ছে না কোনভাবেই। টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর ফেয়েনুর্দের সঙ্গে ড্র, অতঃপর আবারো পরাজয়! লিভারপুলের সঙ্গে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে বসেছে তাঁরা। এই নিয়ে পুরো এক মাস জয় বিহীন থাকলো সিটিজেনরা।

ধুঁকতে থাকা ম্যানসিটি যে অ্যানফিল্ডে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে সেটা প্রত্যাশিতই ছিল; সেই সাথে প্রত্যাশিত ছিল মোহামেদ সালাহর জ্বলে উঠাটাও। বছরের পর বছর যায়, মৌসুমের পর মৌসুম পার হয় কিন্তু তাঁর ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে না। ব্যতিক্রম হয়নি এদিনও; সিটির বিপক্ষে একা হাতে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন তিনি।

ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের কাছ থেকে বল নিয়ে দারুণ দক্ষতায় ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মিশরীয় তারকা। এরপর শট নেয়ার পজিশনে পৌঁছেও একেবারে নিঃস্বার্থভাবে বল বাড়িয়ে দেন কডি গ্যাকপোর দিকে। সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেননি গ্যাকপো, প্রায় ফাঁকা পোস্ট পেয়ে বল জালে জড়ান তিনি।

পুরো ম্যাচেই অপ্রতিরোধ্য ছিলেন সালাহ, সিটির রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছিলেন তিনি। সেটারই পুরষ্কার হিসেবে ৭৭ মিনিটের সময় স্পট কিক মারার সুযোগ পান তিনি; ইনফর্ম উইঙ্গার কোন রকম ভুল করেননি। তাতেই লিড দ্বিগুণ হয় স্বাগতিকদের।

বল দখলে এগিয়েই ছিল সিটিজেনরা, কিন্তু তাঁদের মিডফিল্ডের ছন্দহীন পারফরম্যান্সের কারণে সেই অর্থে সুযোগ তৈরি হয়নি। সেজন্যই প্রতিপক্ষের সাতটা অন টার্গেট শটের বিপরীতে তাঁদের শট মাত্র দুইটা! তাছাড়া আর্লিং হাল্যান্ড পুরো ম্যাচে ১৬ বার বলের স্পর্শ পেয়েছে, যা কি না আউটফিল্ডে নব্বই মিনিট খেলা যেকোনো ফুটবলারের চেয়ে কম।

এই নিয়ে লিগে টানা চার ম্যাচ হেরে গেলো দলটি, স্বাভাবিকভাবেই পয়েন্ট টেবিলে তাঁদের অবস্থান নেমে গিয়েছে পাঁচ নম্বরে। অন্যদিকে লিভারপুল শীর্ষস্থান আরো মজবুত করলো, দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে তাঁদের ব্যবধান এখন নয় পয়েন্টের।

Share via
Copy link