ড্র দিয়ে শুরু সানচেজদের কোপা আমেরিকা মিশন

আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণেও গোল করতে পারেনি চিলি কিংবা পেরু কোনো দলই।

কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণেও গোলের দেখা পায়নি চিলি কিংবা পেরু কোনো দলই। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে এটি এন্ড টি স্টেডিয়ামে পরিচিত প্রতিপক্ষ পেরুর বিরুদ্ধে ড্র দিয়েই এবারের আসরের অভিযান শুরু করে অ্যালেক্সিস সানচেজরা।

২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকা শিরোপা জয়ী দল চিলি। দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পেরু-চিলির মধ্যকার ম্যাচ ক্লাসিকো দেল প্যাসিফিকো হিসেবে পরিচিতি পায়। যা দক্ষিণ আমেরিকার প্রাচীনতম প্রতিদ্বন্দ্বীগুলোর মধ্যে একটি। মোট ৮৪ বারের দেখায় চিলির পক্ষে জয় এসেছে ৪৬ টিতে, আর পেরু জয় পায় ২৪ টি ম্যাচে। বাকি ১৪ টিতে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় উভয় দলকে।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছন্দে খেলতে থাকে পেরু। তবে হঠাৎ দারুণ একটি সুযোগ পায় চিলি। ৪ গজ দূরে থেকে শটটি গোলবারে রাখতে পারেননি সানচেজ। তবে এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে চিলি।

 

এবারের আসরে পেরুর বিপক্ষে শুরুর একাদশে থেকে চিলির গোলরক্ষক ক্লাউদিও ব্রাভো কোপা আমেরিকায় খেলা সব থেকে বয়স্ক খেলোয়াড়। ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে পেরু প্রথম গোলবারে শট নিতে সক্ষম হয়। তবে চিলির গোলরক্ষক ব্রাভো দক্ষতার সাথে আটকিয়ে দেন। দুই দলের মধ্যে গোলবারে এটিই প্রথম শট ছিল। ম্যাচটির প্রথম অর্ধে যেন শারীরিক যুদ্ধেই মনোযোগী ছিল উভয় দলের খেলোয়াড়রা।

দ্বিতীয়ার্ধে আরো ধারালো হয়ে ওঠে চিলি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমেই আক্রমণ আসে করে তাঁরা। বাঁ দিকের উইং থেকে বল নিয়ে গিয়ে বক্সে থাকা দাভিলোর কাছে পৌঁছে দেন ভার্গাস। তবে দাভিলোর শটে বাধা হয়ে দাঁড়ান আরাউজো। কিছুক্ষণ পরেই পাল্টা আক্রমণ করে পেরু। তবে লাপাদুলা হেড থেকে গোল করার সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন।

ম্যাচে বারবার পাল্টা আক্রমণ করেও গোলবারে শট নিতে ব্যর্থ হচ্ছিল চিলি। তাঁদের ১১টি শটের মধ্যে মাত্র একটি শট গোলবারে নিতে সক্ষম হয় তাঁরা। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে ৯০ তম মিনিটে সানচেজ বল নিয়ে পেরুর বক্সে ঢুকলেও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। যার ফলে গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয় ম্যাচটি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...