ক্লাব ক্যারিয়ারে বেশ বড়সড় এক পালাবদলই হয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। ইউরোপের ক্লাব ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন এশিয়ার ক্লাবে। রেকর্ড পারিশ্রমিকে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন তিনি। সৌদির এই ক্লাবে এ মহাতারকার আগমনের আয়োজনটাও হয়েছে ঘটা করে।
আর এতেই অনেকটা ঈর্ষান্বিত আল নাসেরের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আল হিলাল। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, আল হিলাল নাকি এবার তাদের দলে ভেড়াতে যাচ্ছে ফুটবলের আরেক মহাতারকা লিওনেল মেসিকে। আল হিলালের সাথে এই দৌড়ে আছে আরেক ক্লাব- আল ইতিহাদও। এমনকি রোনালদোর চেয়ে বেশি পারিশ্রমিকে তারা মেসিকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, মেসিকে পেতে তারা বছরে সাড়ে তিনশো মিলিয়ন ইউরো খরচ করতেও রাজি।
কিন্তু আল হিলালের ক্ষেত্রে আবার এক দিক দিয়ে বাঁধা রয়েছে। এই মুহূর্তে তারা ফিফার দলবদলের নিয়ম ভঙ্গ করায় নিষেধাজ্ঞাতে আছে। মজার ব্যাপার হল, এই আল হিলালই প্রথমে রোনালদোকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু সৌদি আরবের ফুটবলার মোহাম্মাদ কান্নো আল নাসেরে যাওয়ার কথা বললেও পরবর্তীতে নিজের চুক্তি বাড়িয়ে নেন আল হিলালের সাথে।
ঠিক সে কারণেই ফিফার কাছ থেকে দলবদলের উপর নিষেধাজ্ঞা পায় আল হিলাল। আর এতেই রোনালদোর সাথে চুক্তিটা হাতছাড়া হয়ে যায় আল হিলালের। সেই সুযোগে রোনালদোকে নিয়ে ফুটবল ইতিহাসের বড় চুক্তিটা সেরে ফেলে আল হিলালে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আল নাসের।
আর এরপর থেকেই মেসিকে দলে ভেড়ানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে আল হিলাল। এমনকি শোনা যাচ্ছে, এ চুক্তির জন্য তারা সৌদি সরকারেরও দ্বারস্থ হয়েছে। তবে স্প্যানিশ আরো কয়েকটি গণমাধ্যম আবার জানাচ্ছে, এ সব কিছুই গুঞ্জন। মেসি এখন পিএসজির হয়ে খেলছেন।
এই গ্রীষ্মেই তাঁর চুক্তি শেষ হবে। তবে মেসি আরো কিছুদিন ইউরোপে খেলতে চান। তাই পিএসজিতেই আপাতত থাকতে চাচ্ছেন বিশ্বকাপ জয়ী এ তারকা। এমনকি এটাও জানা গিয়েছে, মেসির বাবা হোর্হে মেসি আগামী সপ্তাহেই পিএসজির সাথে নতুন চুক্তি সম্পন্ন করবেন।
তবে সৌদি আরব ফুটবলে একটা নব জাগরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে। মূলত রোনালদো সৌদিতে যাওয়ার পর থেকেই ফুটবলে তাদের আবহ পাল্টে গিয়েছে। এখন সেখানকার অনেক ক্লাবই ইউরোপে খেলা ফুটবলারদের দিকে নজর রাখছে। আর সেই তালিকায় রয়েছে অনেক বড় নামও।
লুকা মদ্রিচ থেকে শুরু করে সার্জিও রামোস, ডি মারিয়া, সার্জিও বুস্কেটসরা রয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাবগুলোর নজরে। এর মধ্যে মেসুত ওজিলের সাথে এক সৌদি ক্লাবের কথাও চলছে। সব কিছু মিলিয়ে সৌদি আরব দুরন্ত গতিতেই এগোচ্ছে। কে জানে, আগামীর ক্লাব ফুটবলের বাজারে সৌদি আরবই হয়তো আধিপত্য দেখাবে।