বাঁচা মরার লড়াইয়ে মুখোমুখি স্কটল্যান্ড ও ওমান। স্কটল্যান্ডের জন্য সমীকরণটা বেশ সহজ, জিতলেই পৌঁছে যাবে মূল পর্বে। তবে ওমানের জন্য ছিলো কিছুটা ক্যালকুলেশন। রান রেটে পিছিয়ে থাকায় জিততে হতো বড় ব্যবধানে। কিন্তু ব্যাট হাতে নিজেদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর অল্প রানের লক্ষ্যামাত্রা ডিফেন্ড করতে পারেনি ওমানের বোলাররা। ওমানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে গ্রপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মূল পর্বে পা দিলো স্কটল্যান্ড।
১২৩ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ৩৩ রান তুলে দুই স্কটিশ ওপেনার জর্জ মানসে ও কাইল কোয়েটজার। মানসে ১৯ বলে ২০ রানে ফিরলেও মারমুখি ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন কোয়েটজার। দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাথু ক্রসের সঙ্গে গড়েন ৪২ রানের জুটি। দলীয় ৭৫ রানে ২৮ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৪১ রানে আউট হন কোয়েটজার। ১০ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৭৫ রান তুলে স্কটিশরা। বাকি কাজটা সহজেই করে ফেলেন ক্রস ও রিচি বেরিংটন।
ক্রসের ধীরগতির ২৬ আর বেরিংটনের ২১ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৩ ওভার বাকি থাকতে ৮ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্কটল্যান্ড।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলেই রান আউটে শিকার হয়ে যাতিন্দর সিং ফেরেন গোল্ডেন ডাকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওমান। ১৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওপেনার আকিব ইলিয়াস ও মোহাম্মদ নাদিমের ৩৮ রানের জুটি কিছুটা আশা জাগালেও এরপর নিয়মিত উইকেট হারায় ওমান। ছোট্ট ছোট্ট জুটি গড়লেও বড় সংগ্রহের দিকে এগুতে পারেনি ওমানের ব্যাটাররা। আকিবের ৩৫ বলে ৩৭ ও নাদিমের ২৫ রানে ফেরার পর একপ্রান্তে থিতু ছিলেন অধিনায়ক জিশান মাকসুদ।
কিন্তু আরেকপ্রান্তে বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। জিশান মাকসুদের পর কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। জশ ডেভি ও মাইকেল লিস্কের বোলিং দাপটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২২ রানে থামে ওমানের ইনিংস। দলের পক্ষে আকিব সর্বোচ্চ ৩৭ ও জিশান করেন ৩৪ রান। স্কটল্যান্ডের পক্ষে জশ ডেভি ৩ ও লিস্ক নেন ২ উইকেট।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওমান – ১২২/১০ (২০ ওভার); আকিব ইলিয়াস ৩৭(৩৫), জিশান মাকসুদ ৩৪(৩০), মোহাম্মদ নাদিম ২৫(২১); জশ ডেভি ৪-০-২৫-৩, লিস্ক ৩-০-১৩-২, সাফইয়ন শরিফ ৪-০-২৫-২
স্কটল্যান্ড – ১২৩/২ (ওভার) কোয়েটজার ৪১(২৮), ম্যাথু ক্রস ২৬(৩৫)*, রিচি বেরিংটন ৩১(২১)*, মানসে ২০(১৯); খাওয়ার আলি ৪-০-২৭-১, ফাইয়াজ বাট ৩-০-২৬-১
ফলাফল: স্কটল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: জশ ডেভি (স্কটল্যান্ড)