স্কট বোল্যান্ড, বুড়ো বয়সের দাপট

তিন ম্যাচে মাত্র ১৫.৪৭ গড়ে ১৫ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। সিরিজে কমপক্ষে দশ উইকেট শিকার করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে জাসপ্রিত বুমরাহ ছাড়া বাকি সবার গড় তাঁর চেয়ে বেশি।

জশ হ্যাজলউড ফিট থাকলে একাদশেই রাখা হতো স্কট বোল্যান্ডকে। সত্যি বলতে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক আর হ্যাজলউডের পেসত্রয়ী ভেঙে তাঁকে সুযোগ দেয়া হবে সেটা বোধহয় তিনি নিজেও প্রত্যাশা করেন না। তবে তাঁর নিজের ওপর প্রত্যাশা নিশ্চিত আকাশছোঁয়া, সুযোগ পেলেই সেই প্রত্যাশা মেটানোর নেশায় মেতে ওঠেন তিনি।

প্রতিপক্ষকে রীতিমতো ধসিয়ে দেন এই পেসার, ঠিক যেমন সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ধসিয়ে দিয়েছেন ভারতকে। গুনে গুনে শিকার করেছেন চারটা উইকেট; আর এ চার উইকেটের সবগুলোই ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের মূল স্তম্ভ – যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, ঋষাভ পান্ত এবং ইনফর্ম নিতীশ রেড্ডি।

অবশ্য এই ডানহাতি যে লাইন লেন্থ ধরে বোলিং করেছেন তাতে আরো বেশি উইকেট তিনি প্রাপ্য বটে। তাঁর ওভারে রানই তুলতে পারেনি ব্যাটাররা, নিজের প্রথম সতেরো ওভারে আটটা মেডেন পেয়েছেন তিনি। আর এসময় খরচ করেছেন স্রেফ উনিশ রান।

এদিন চার ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে পাঠানোর মধ্য ইতিহাসেও জায়গা পেয়ে গিয়েছেন এই অজি বোলার। টেস্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চাশ উইকেট পূর্ণ হয়েছে তাঁর। বর্তমানে তাঁর বয়স ৩৫ বছর ২৬৭ দিন। ১৯৭৫ সালের পর থেকে এত বেশি বয়সে আর কেউই এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি।

হ্যাজলউডের চোটের কারণে চলতি সিরিজে তিন ম্যাচ খেলতে পেরেছেন বোল্যান্ড। আর তিন ম্যাচে মাত্র ১৫.৪৭ গড়ে ১৫ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। সিরিজে কমপক্ষে দশ উইকেট শিকার করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে জাসপ্রিত বুমরাহ ছাড়া বাকি সবার গড় তাঁর চেয়ে বেশি।

বয়সটা প্রায় পড়ন্ত বেলায় পৌঁছে গিয়েছে, এই তারকা চাইলেও আর বেশিদিন খেলতে পারবেন না। আসলে তাঁর জন্মটা হয়েছে ভুল সময়ে, অন্য কোন যুগ হলে হয়তো দলের পেস বিভাগের নেতা বনে যেতেন তিনি। তবে যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন ততটুকুই কাজে লাগিয়েছেন তিনি – সেজন্য হলেও খানিকটা লাইমলাইট আর প্রশংসার দাবিদার তিনি।

Share via
Copy link