জয় দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরু করা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও দাপুটে জয় পেয়েছে। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে ইরফান শুকুরের হাফসেঞ্চুরিতে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৬ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। যদিও অধিনায়ক সাকিব নিজে ব্যর্থ ছিলেন ব্যাট হাতে।
তবে জয় সহজে আসলেও লক্ষ্যটা চ্যালেঞ্জিং ছিল মোহামেডানের জন্য। প্রথমে ব্যাট করে মোহামেডানকে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পারভেজ হোসেন ইমন ও সাকিব আল ফিরে গেলেও মাহমুদুল হাসান ও শামসুর রহমানের ব্যাটে ঘুঁড়ে দাঁড়ায় মোহামেডান।
কিন্তু দারুণ খেলতে থাকা মাহমুদুল হাসান ২৬ বলে ৩৮ রান করে ও শামসুর রহমান ১৬ বলে ১৯ রান করে ফিরে গেলে ৭৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মোহামেডান। এরপর পঞ্চম উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ইরফান শুকুর ও নাদিফ চৌধুরী।
ইরফান শুকুর ২৯ বলে ৫২ রান করে ও নাদিফ চৌধুরী ২৩ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। পারটেক্সের পক্ষে তিনটি উইকেট শিকার করেছেন তাসামুল হক। এছাড়া একটি উইকেট পেয়েছেন ইমরান আলী। সাকিব এদিন কোনো রান না করেই প্রথম বলে ফিরে যান সাজঘরে।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সায়েম আলমকে হারায় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। সাকিব আল হাসানের প্রথম শিকার হয়ে এই ওপেনার ফিরে যান ২ রান। দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন আব্বাস মুসা ও অধিনায়ক তাসামুল হক।
দ্বিতীয় উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়েন দুজন।মোহামেডানের বোলারদের ওপর চড়া হয়ে ৪৪ বলে ৬৪ রান করে মুসা আউট হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি। এরপর দ্রুত নাজমুল হোসেন মিলন ও ধীমান ঘোষ ফিরে গেলেও রানের গতি কমেনি পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান তাসামুল।
শেষের দিকে পারটেক্সের অধিনায়কের ৫৬ বলে ৫৯ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে পারটেক্স। মোহামেডানের পক্ষে তাসকিন আহমেদ দুটি ও সাকিব আল হাসান এবং আবু জায়েদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ১৫৭/৫ (ওভার: ২০; মুসা- ৬৪, সায়েম- ২, তাসামুল- ৫৯, মিলন- ০, ধীমান- ১, শফিউল- ১৮) (তাসকিন- ৪-০-৩৩-২, সাকিব- ৪-১-৩১-১, রাহি- ৪-০-২৬-১)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ১৫৮/৪ (ওভার: ১৭.৪; পারভেজ- ১৭, মাহমুদুল- ৩৮, সাকিব- ০, শামসুর- ১৯, শুকুর- ৫২*, নাদিফ- ২৭*) (তাসামুল- ৩-০-১৮-৩, ইমরান- ৩-০-৪৩-১)
ফলাফল: মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৬ উইকেটে জয়ী।