সেই ছোট্ট ফয়সাল থেকে বিশ্বসেরা, কেটে গেছে ১৯ বছর

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম সাকিব আল হাসান। ১৯ বছর আগে ফয়সাল যাত্রা শুরু করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। বিতর্ক ছাপিয়ে তিনি বনে গেছেন বাংলাদেশের একজন জীবন্ত কিংবদন্তী। পোস্টারবয় খ্যাত এই সাকিবের  নামেই বাংলাদেশকে চেনে বিশ্ববাসী।

২০০৬ সালের ৬ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন সাকিব আল হাসান। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে ১৯ টি বছর। আর এই দীর্ঘ  সময়ে কত শত অর্জন! বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে দেখিয়েছেন দাপট।

শুরুটা ছিল স্বপ্নময়। অভিষেকের পর থেকেই সাকিব তাঁর প্রতিভার ঝলক দেখাতে শুরু করেন। শুরু থেকেই ব্যাট-বলে দায়িত্বশীল পারফরমেন্স তাকে করে তোলে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। খুব অল্প সময়েই প্রমাণ করেন, তিনি একজন জাত অলরাউন্ডার।

১৯ বছরের ক্যারিয়ারে সাকিব খেলেছেন অসংখ্য টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। তিনি বিশ্বের একমাত্র ‍ক্রিকেটার , ‍যিনি তিন ফরম্যাটেই এক হাজার রান ও ৫০ উইকেটের মালিক। টেস্টে পাঁচ হাজারের বেশি রান ও ২০০ এর বেশি উইকেট। ওয়ানডেতে সাত হাজারের বেশি রান ও ৩০০ এর বেশি উইকেট।

টি-টোয়েন্টিতে  দুই হাজার+ রান ও ১৪০+ উইকেট। এছাড়াও তিনি খেলেছেন আইপিল সহ বিশ্বের  বড় বড় সব ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে। সাকিব একাধিকবার বাংলাদেশের  অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঠে তার বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত ও সাহসী নেতৃত্ব বাংলাদেশকে দিয়েছে অনেক স্মরণীয় জয়। মাঠে তার  উপস্থিতি দলে এক অন্যরকম আবহ সৃষ্টি করে।

ক্যারিয়ারে সাকিবকে পেরোতে হয়েছে বহু চ্যালেঞ্জ- ইনজুরি, আইসিসি নিষেধাজ্ঞা, সমালোচনা। তবে প্রতিবারই তিনি ফিরে এসেছেন আরও শক্তিশালী হয়ে। প্রতাপের সাথে প্রতিবার হয়েছে তার প্রত্যাবর্তন।

বর্তমানে সাকিব আছেন ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়ে । যদিও বয়স ৩৮ ছুঁই ছুঁই, তবুও মাঠে তার অবদান এখনো মূল্যবান । তরুণদের জন্য তিনি হয়ে উঠেছেন প্রেরণার উৎস। যদিও বিতর্কের রোষানলে তিনি ভৎসনার শিকার।

১৯ বছর পূর্তি শুধু একটা সময়ের হিসাব নয়, এটা এক ইতিহাসের সাক্ষ্য। সাকিব আল হাসান শুধু একজন ক্রিকেটার নন – তিনি  গোটা  একটা প্রজন্মের অনুপ্রেরণা, বাংলাদেশের গর্ব। বিশ্বমঞ্চে লাল-সবুজের পতাকাকে তুলে ধরার জন্য তার তো নিশ্চয়ই ধন্যবাদ প্রাপ্য।

Share via
Copy link