২০২৭ বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের বয়স হবে ৪০। ওই বয়সেও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার চালিয়ে নিতে পারাটা বেশ কষ্টসাধ্য হবে তাঁর জন্য। তাই, সাকিবকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত অধিনায়কত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তাহলে, ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের অধিনায়ক হবেন কে? যে যেই হবেন, তাকে গড়ে তুলতে হবে সাকিবকেই। বিসিবি সাকিবকে ভবিষ্যতের অধিনায়ক খোঁজার দায়িত্বটাও দিচ্ছে।
২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত নেতৃত্ব পেতে পারেন সাকিব। সব্যসাচী এ ক্রিকেটারের শেষ বৈশ্বিক টুর্নামেন্টও হতে পারে এটি। কারণ, তখন তাঁর বয়স ৩৮ বছর পেরোবে। তাই আশা করা যায় না, ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলবেন তিনি।
বোর্ডের ভাবনা হল, এখনকার মত সাকিবের অধীনেও সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন লিটন কুমার দাস। সেক্ষেত্রে, ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক হিসেবে তৈরি হয়ে যাবেন লিটন। এই বিবেচনাতেও অধিনায়কত্ব পাওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন সাকিব।
সব মহল থেকে এখন পর্যন্ত ভোটটা বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অধিনায়কের পক্ষেই যাচ্ছে। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কিংবা বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন – সবাই অধিনায়ক হিসেবে চান সাকিবকেই।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরও অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকেই প্রথম পছন্দ। ফলে, যদি এখন যদি শুধু সাকিব রাজি থাকেন তাহলে তাঁর হাতেই উঠতে যাচ্ছে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড।
সাকিব চান দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব নিতে। বোর্ডও অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা এমন কাউকে দিতে চায় যে দুই বছর দলের নেতৃত্ব দিতে পারবে। তবে, আরও দু’টো বছর সাকিব অধিনায়ক হিসেবে দলকে সার্ভিস দিতে পারবেন কি না, সেটা বুুঝে নিতে চায় বিসিবি।
সাকিবের বয়সটা একটা ফ্যাক্টর এখানে। অন্যদিকে, তিনি বিশ্বের নানা প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলেন। ফলে, তাঁকে কতটা পাওয়া যাবে সেটা নিয়ে সন্দিহান বিসিবি। এসব ইস্যু নিয়ে সাকিবের সাথে আলাপ করবে বোর্ড।
সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসেরই সেরা অধিনায়কদের একজন। ৫০ টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাতে দল জিতেছে ২৩ টি ম্যাচে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপেও অধিনায়কত্ব করেন। ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে সহ-অধিনায়ক ছিলেন।
বলা যায়, সাকিব ছাড়া ‘বেটার’ কোনো বিকল্প এই মুহূর্তে হাতে নেই।