জলঘোলা ছাড়াই সাকিব-লিটন পেলেন ছাড়পত্র

এই তো কিছুদিন আগেই কি পরিমাণ জলঘোলা এক পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি স্রেফ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার ছাড়পত্র চেয়েছিলেন। তবে জাতীয় দলের খেলা থাকায় আইপিএল আর খেলা হয়নি সাকিবের।

অন্যদিকে লিটন দাসের ছাড়পত্রেও ছিল নানান ধরণের জটিলতা। তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে একটি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন বটে। তবে পুরো মৌসুম দলের সাথে থাকতে পারবেন না বলেই কিনা দীর্ঘায়িত হয়েছিল লিটনের বেঞ্চের দিনকাল।

তবে এবার এই দুইজন খেলোয়াড়ই বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেছেন। আফগানিস্তানের সাথে সাদা বলের সিরিজ শেষ হবে বাংলাদেশের ১৬ জুলাই। এর ঠিক পরপরই রয়েছে দুইটি ভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। ২০ জুলাই থেকে শুরু হবে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ। সেখানে সাকিব, লিটন দু’জনই দল পেয়েছে, তবে ভিন্ন।

এরপর আবার ৩০ জুলাই থেকে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ আসর মাঠে গড়াবে। সেই টুর্নামেন্টের দল গল টাইটান্স সরাসরি চুক্তিবদ্ধ করেছে সাকিব আল হাসানকে। তবে লিটন কোন দল পাননি। এমন এক পরিস্থিতিতে দু’জন খেলোয়াড়কেই দেওয়া হয়েছে ছাড়পত্র।

লিটন মূলত একটি টুর্নামেন্টই খেলবেন। সেই উদ্দেশ্যে দু’জনই একসাথে কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার পর। অন্তত এবার কোন জলঘোলা ছাড়াই, অনাপত্তিপত্র পেয়ে গেছেন দেশের অন্যতম দুই সেরা খেলোয়াড়।

বহু সময় প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কি তবে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বিরুদ্ধে? এবারে খুব সহজেই সাকিব-লিটনদের ছাড়পত্র পাওয়াটা সে প্রশ্নের গুরুত্ব কমিয়ে দেয় অনেকাংশেই। বিসিবির কাছে জাতীয় দলটাই সব সময় বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।

ব্যক্তিগত উন্নয়নের চাইতে দলগত সাফল্যই মুখ্য বিষয় বিসিবির জন্যে। তাইতো বাংলাদেশের খেলা থাকাকালীন সময়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়তে নারাজ বিসিবি। সেদিক থেকে অবশ্য বিসিবির এমন সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় না।

তবে নিশ্চয়ই প্রায় সময়ে হওয়া এই ঝামেলার একটা সমাধান খুঁজতে চাইবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বের নামকরা ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর সময় অন্তত জাতীয় দলের সূচির সমন্বয় করতেই চাইবে বিসিবি। সেটাও খানিকটা সময়সাপেক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link