বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নেই সাকিব আল হাসান, টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। তবে হতশ্রী পারফরম্যান্স আবারো এক বিন্দুতে নিয়ে এসেছে তাঁদের। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে, সাকিব তখন গ্রহের আরেক প্রান্তে ধুঁকছেন নিদারুণভাবে।
লস অ্যাঞ্জেলস ওয়েবসের হয়ে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ খেলছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। দলটার অধিনায়কও তিনি অথচ পারফরম্যান্সে নেই সেটা ছিটেফোঁটাও। প্রথম ম্যাচে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন, দ্বিতীয় ম্যাচেও চিত্র বদলায়নি।
টেক্সাস গ্লাডিয়েটর্সের জন্য টার্গেটটা ছিল ১০ ওভারে ১২৭, বোলাররা দায়িত্বশীল বোলিং করলে জয় না হোক অন্তত লড়াই করতে পারতো লস অ্যাঞ্জেলস। কিন্তু হলো সেটার উল্টো, স্রেফ সাত ওভারের মধ্যেই শেষ ম্যাচ। আর বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিংয়ের দিনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব নিজেই।
তিন ওভার বল করে দুই উইকেট পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু খরচ করেছেন ৩৭ রান। প্রতিপক্ষ দলে আহামরি কেউ ছিলেনও না; নিক কেলি, জেমস ফুলারের মত অর্ধপরিচিত ব্যাটাররাই যথেষ্ট ছিলেন তাঁর ওভারে দেদারসে রান তোলার জন্য।
যদিও ব্যাট হাতে টাইগার তারকা তুলনামূলক ভাল করেছেন। তিন চার ও এক ছক্কায় ১১ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেলেছেন তিনি – তবে দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি সেটা, অবশ্য এতে তাঁর চেয়ে সতীর্থদের দোষ বোধহয় বেশি।
ক্রিকেটের বইয়ে সাকিবের অধ্যায় যে ফুরিয়ে এসেছে সেটা তিনি নিজেই বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তো টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে থামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারত সিরিজের মাঝপথে – তবে ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাবেন আরো কিছুদিন। কিন্তু, ফর্মের যে হাল, তাতে শঙ্কা জাগে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ারও!