সময় বদলায়, প্রতিপক্ষ বদলায়— কত কিছুই না বদলে যায়। বদলে যান না বোধহয় শুধু সাকিবই। বাইশ গজে নিজের আধিপত্যটা যেন তাঁর পরম প্রিয় এক অভ্যাস।
আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ সেরা। এরপর সুদূর কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে সেখানে পদচারণা। দেশ থেকে দূরত্বটা যতই হোক, পারফর্ম করার তাড়নাটা যেন তাঁর মাঝে সব সময় বিদ্যমান।
মন্ট্রিল টাইগার্সের হয়ে প্রথম ম্যাচে ব্যাট এবং বল হাতে দারুণ ছন্দ দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সারে জাগুয়ার্সের বিপক্ষে ছিল ম্যাচটা।
যে দলে রয়েছেন আরেক বাংলাদেশি লিটন দাস। দুই বাংলাদেশির ভিনদেশি টুর্নামেন্টে লড়াই। তাই ম্যাচটি নিয়ে কম আগ্রহ ছিল না দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে। যদিও সেই লড়াইয়ে জিতেছেন সাকিবই। নিজে পারফর্ম করেছেন। দলকে জিতিয়েছেন ৫ উইকেটে।
দারুণ এক ছক্কায় দুর্দান্ত শুরুরই আভাস দিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু লিটনের সেই পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান সাকিব। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিং প্রান্তে এসেই তুলে নেন লিটনের উইকেট। এরপর আরো দুটি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
পরগাত সিংকে ক্যাচ বানিয়ে আর ম্যাথু ফোর্ডকে এলবিডব্লিয়ের ফাঁদে ফেলে দলের সবচেয়ে সফল বোলার বনে যান সাকিব। রান খরচ করার দিক দিয়ে এ দিন সাকিব ছিলেন বেশ কিপ্টে। ৩ উইকেট নেওয়ার পথে ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৮ রান।
দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও এদিন আগ্রাসী ছিলেন সাকিব। তিনে ব্যাট করতে এসেছিলেন। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে উইকেটে এসেই জাগুয়ার্স বোলারদের উপর তুলেছিলেন ঝড়।
১৩ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে খেলেছিলেন কার্যকরী ২৬ রানের ইনিংস। আর তাতেই ম্যাচ জয়ের শক্ত ভিত পেয়ে যায় মন্ট্রিয়েল টাইগার্স। তবে এমন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের পরও ম্যাচ সেরা পুরস্কার জিততে পারেননি সাকিব।
বিস্ময়করভাবে, ম্যাচ সেরার পুরস্কার গিয়েছে ৩১ বলে ২৮ রান করা ব্যাটার দিলপ্রীত সিংয়ের হাতে। কেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার সাকিবের হাতে উঠলো না – সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।