বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওডিআই সিরিজে লড়াই করছে, সাকিব তখন পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলঙ্কায়। লংকা টি-টেন লিগ শুরুর আগেই পাল্লেকেলে ছেয়ে গিয়েছিলো সাকিবের বড় বড় ব্যানারে। সাকিব তাই প্রতিদান দিলেন প্রথম ম্যাচেই।
২৪ ঘন্টারও কম সময় আগে সাকিব পৌছেছেন শ্রীলঙ্কাতে। সেকারণেই কি না কে জানে প্রথমে বোলিংয়ের সুযোগ পেয়ে অধিনায়ক থিকশানা সাকিবকে দিয়ে করিয়েছেন কেবলমাত্র এক ওভার। তবে পারফরম্যান্সে ভাটা পড়ে নি সাকিবের। কোন উইকেট না পেলেও দিয়েছেন মাত্র ৭ রান। টি-টেন ক্রিকেটের বিবেচনায় যা দুর্দান্তই বটে।
তবে সাকিব আসল কাজটা করেছেন ব্যাটিংয়ে নেমে। ১০১ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনাই পেয়েছিলো গল মার্ভেলস। কিন্তু দ্রুতই ৩৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপাকেই পড়ে গল। তখনই ত্রাতা হয়ে আসেন সাকিব।
থিসারা পেরেরার টানা তিন বলে ১ চার এবং ২ ছক্কা হাকিয়ে দলকে চাপমুক্ত করেন তিনি। রয়েছে এক্সট্রা কাভারের উপর দিয়ে বিশাল এক ছক্কাও।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ‘টাইম আউট’ ইস্যুর পরে সাকিবকে শ্রীলঙ্কা কিভাবে বরণ করে, সেটাই ছিলো আলোচনার বিষয়। লঙ্কান দর্শকদের সাকিবকে নিয়ে উচ্ছ্বাসই জানিয়েছে, পারফরম্যান্সে সাকিব মুগ্ধ করতে পারেন প্রায় সবাইকেই।
জাতীয় দলে ফেরা এখন আর সাকিবের হাতে নেই। সাকিব এখন কেবল নিজেকে খেলার জন্য প্রস্তুত রাখতে পারেন, নিজেকে উপভোগ করতে পারেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, সাকিব বিহীন বাংলাদেশ ক্রিকেটকে উপভোগ করতে পারছে তো?