সাকিব আল হাসানের বুদ্ধির ফাঁদে মুখ থুবড়ে পড়েছেন ফাফ ডু প্লেসিস। একই দশা হয়েছিল রোহান মুস্তফার। ওই মস্তিষ্কের জোরেই তো সাকিব হয়েছেন বিশ্বসেরা। টি-টেন লিগে সাকিবের দল বাংলা টাইগার্স হেরেছে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। কিন্তু বল হাতে ঠিকই নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন সাকিব।
রুম বানিয়ে ছক্কা হাঁকাতে চাইলেন ফাফ ডু প্লেসিস। কিন্তু সাকিব আল হাসানের হাওয়ায় ভাসানো বলটা ঠিকঠাক পড়তে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। স্লোয়ার বলে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন ফাফ। বাংলা টাইগার্সকে একটু স্বস্তির সুযোগ তৈরি করে দেন সাকিব।
বুদ্ধিদীপ্ত সাকিবের বিপক্ষে ব্যাট চালানো বরাবরই দুষ্কর। সেটার প্রমাণ পেয়েছেন মরিসভিল স্যাম্প আর্মির অধিনায়ক রোহান মুস্তফা। সাকিবের দ্বিতীয় ওভারে রান শুকিয়ে যায়। তাইতো ডাউন দ্য উইকেটে এসে বড় শট খেলার প্রয়াশ চালান রোহান। তাকে সামনে আসতে দেখে ওয়াইড লাইন ধরে বল ছুড়ে দেন সাকিব। অগ্যতা স্ট্যাম্পিংয়ের সহয়তায় দ্বিতীয় উইকেট পেয়ে যান বাংলা টাইগার্সের অধিনায়ক।
রান বন্যার টি-টেন লিগে দুই ওভারে সাকিবের খরচ মাত্র ১৫ রান। ম্যাচের মোমেন্টাম দলের পক্ষে এনেছিলেন তিনি। কিন্তু বাকি বোলারদের ব্যর্থতায় ম্যাচ আর জেতা হয়ে ওঠেনি তার দলের। বল হাতে স্রেফ একটি বাউন্ডারি হজম করেছিলেন সাকিব আল হাসান।
ব্যাট হাতে নামার সুযোগ তার হয়ে ওঠেনি। তবে বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও নিজের সামর্থ্যের প্রদর্শন করেছেন সাকিব। আন্দ্রেস গাউসকে রানআউট করেছেন তিনি। শর্ট কাভার থেকে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করেছেন বা-হাতি এই অলরাউন্ডার। এছাড়াও ম্যাচের শেষভাগে দারুণ ফিল্ডিংয়ে নিশ্চিত চার বাঁচিয়েছেন তিনি।
সাকিব উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন বটে। সেই সাথে ব্যাট হাতে অগ্নি ঝড়িয়েছেন দাসুন শানাকা। তবুও শেষ অবধি ছয় উইকেটের পরাজয় হয়েছে সাকিবের সঙ্গী। বাংলা টাইগার্সের শুরুটাও হয়েছে তাই পরাজয় দিয়ে।