শামিমের পারফরম্যান্স পেসারদের লজ্জা!

১৯ তম ওভারে নিজের বোলিং কোটা পূরণ করেন শামিম। একটু খরুচে ছিলেন। ১২ রান দিলেন। চার ওভারে ৩১ রান, আর এক উইকেট। এই পারফরম্যান্স বাংলাদেশের বাকি বোলারদের জন্য লজ্জার সামিল।

পাকিস্তান দল আর যাই হোক, শামিম পাটোয়ারির বিপক্ষে কিভাবে ব্যাট করতে হবে – সেই কৌশল রপ্ত করে আসেনি। আসার কথাও নয়। ২৫ টি-টোয়েন্টিতে যিনি এর আগে মাত্র দু’টো ওভার বোলিং করেছেন তাঁকে নিয়ে আলাদা করে ভাবার কিছু নেই।

আর সেই সুযোগটাই নিল বাংলাদেশ। শামিমকে দিয়ে টানা চার ওভার বোলিং করানো হল। কারণ, বাংলাদেশর নাম সর্বস্ব একটা পেস ব্যাটারি আছে। শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব কিংবা হাসান মাহমুদ – কারোই বোলিংয়ের চার ওভারের কোটা পূরণ করা গেল না। তিন পেসার মিলে করলেন আট ওভার।

দুই স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান আর রিশাদ হোসেন নিজেদের কোটা পূরণ করলেন। তিন ওভারে ৩৬ রান দেওয়া রিশাদকে দিয়ে ১৮ তম ওভার করানো হল, তিনি সেখানে রান দিলেন ১৯।

বাকি বোলাররা যখন রানের পর রান হজম করে যাচ্ছিল, তখন লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আবির্ভাব হয় শামিম হোসেন পাটোয়ারির। আর তাঁর কাছ থেকে যা যাওয়া তার বেশিই দিয়ে গেছেন তিনি।

প্রথম ওভারেই শাদাব খানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলতে পারতেন। কিন্তু, আম্পায়ার সায় দেননি। ডিআরএস নেই বলে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম উইকেট পাওয়া হয়নি শামিমের। রান দিলেন সাতটি। দ্বিতীয় ওভারে তিনি আরও মিতব্যয়ী, রান আসল মাত্র চারটি।

অধিনায়ক লিটন আরও একটা ঝুঁকি নিলেন! তৃতীয় ওভার করালেন শামিমকে দিয়ে। ১৭ তম ওভারে মাত্র আট রান দেওয়ার পাশাপাশি স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেললেন খুশদিল শাহকে।

১৯ তম ওভারে নিজের বোলিং কোটা পূরণ করেন শামিম। একটু খরুচে ছিলেন। ১২ রান দিলেন। চার ওভারে ৩১ রান, আর এক উইকেট। এই পারফরম্যান্স বাংলাদেশের বাকি বোলারদের জন্য লজ্জার সামিল।

Share via
Copy link