‘জোরে জোরে, আমার সাথে, আমার সাথে’ – এভাবেই শামীম হোসেনকে উজ্জীবিত করা যাচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কত্ব নেই, তাই বলে নেতা হওয়ার সত্ত্বা হারিয়ে যায়নি শান্তর।
বেশ অগোছালোভাবে অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়ানডে দলনেতা পরিবর্তন করে মেহেদী হাসান মিরাজের উপর দেওয়া হয় দায়িত্ব। এরপর শান্ত স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়েছিলেন টেস্ট অধিনায়কত্ব। তবে তিনি এখনও দলনেতার মতই সতীর্থদের পাশে দাঁড়ান, অনুপ্রেরণা জোগান।
তবে শান্ত নিজেকে অনুপ্রাণিত করছেন কিভাবে? এই প্রশ্ন করা যায় চাইলেই। সামনে স্রেফ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বাংলাদেশের। সেই দলে জায়গা হারিয়েছেন শান্ত। সেটা অবশ্য যৌক্তিক কারণেই। ১০৯ স্ট্রাইকরেটের একজন ব্যাটারকে কেনই বা দল ক্যারি করতে চাইবে!
তাহলে তিনি কেন এশিয়া কাপের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে? শেষ অবধি কি নাজমুল হোসেন শান্তকে দেখা যেতে পারে এশিয়া কাপের দলে? সেই সম্ভাবনাও শূন্যের কাছাকাছি। এখন পর্যন্ত দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন শান্ত। এই দুই টুর্নামেন্ট মিলিয়ে তার হাফ সেঞ্চুরিও সেই দুইটিই। তবে সবচেয়ে দৃষ্টিকটু বিষয় হচ্ছে, তার স্ট্রাইকরেট স্রেফ ১০৬।
এই পরিসংখ্যান পুঁজি করে এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাওয়া হবে না সমীচীন নয়। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্য দুই ফরম্যাটের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শান্ত। তারও ফিটনেসের সর্বোচ্চ উন্নতি প্রয়োজন। কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রয়োজন। টেস্ট আর ওয়ানডে ম্যাচে তো শরীরের উপর ধকল যায় বেশি।
সময় এলে ভাল খেলার অনুপ্রেরণা পুঁজি করেই শান্ত নিজে লড়ে যাচ্ছেন। সতীর্থদেরও যতটুকু সম্ভব নিজেকে ছাপিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করছেন। ক্যারিয়ারের গোলমেলে সময়েও দৃঢ়তা প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। এটাও বরং নেতৃত্বগুণের পরিচয়।