জেতার ইচ্ছে যেন হাওয়াই মিঠাই

জয়ের জন্যে সবসময় চিন্তা ছিল বাংলাদেশের। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর এই কথা আর কাজের সাথে রয়েছে বড্ড বেমামান। অবশ্য নিজেদের পরিকল্পনার পক্ষেও যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন শান্ত। দায় সব বেরসিক বৃষ্টির। কিন্তু এই যুক্তিগুলো ঠিক কতটুকু ধোপে টেকে?

জয়ের জন্যে সবসময় চিন্তা ছিল বাংলাদেশের। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর এই কথা আর কাজের সাথে রয়েছে বড্ড বেমামান। অবশ্য নিজেদের পরিকল্পনার পক্ষেও যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন শান্ত। দায় সব বেরসিক বৃষ্টির। কিন্তু এই যুক্তিগুলো ঠিক কতটুকু ধোপে টেকে?

পঞ্চম দিনের শুরুর ১৯ ওভারে তিন রান করে করে তুলেছেন বাংলাদেশের দুই সেট ব্যাটার, শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। এরপর মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে যখন বৃষ্টির বাগড়া এলো- তখন বাংলাদেশের রান তোলার গতি ওভারপ্রতি ২.৯০ করে। অর্থাৎ তিনের আশেপাশেই রান তুলে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা।

ম্যাচ জেতার যদি সত্যিকারের ইচ্ছে থাকত, তবে নিশ্চয়ই রান তোলার গতি নিদেপক্ষে চার বা তার বেশি হওয়া উচিত ছিল। সেক্ষেত্রে দ্রুতই স্কোরবোর্ড হৃষ্টপুষ্ট করা যেত। বোলারদের হাতে পর্যাপ্ত ওভার দেওয়া যেতে পারত, যেন তারা প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে পারে।

তেমন প্রয়াশ যে একেবারেই ছিল না সে কথা অস্বীকার করা গেলেও তো অসত্য হয়ে যায় না। সেখানেই শেষ নয়। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেছেন, ‘মাঝখানে বৃষ্টিটাই আমাদের পরিকল্পনা একটু পরিবর্তন করে দিয়েছে।’ বৃষ্টি বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ছিল ২৩৭। লিড তখন ২৪৭ রানের।

বৃষ্টিতে প্রায় ঘন্টাখানেক খেলা বন্ধ ছিল। মাঠ প্রস্তুত করতে লেগে গেছে আরও প্রায় এক ঘন্টা। এরপর যখন দিনের খেলা বাকি ছিল আর স্রেফ ৪৭ ওভারের মত, ঠিক সেই সময়ও বাংলাদেশ দল ব্যাটিংয়ে নামে, খেলে আরও দশ ওভার। সেই দশ ওভারের শুরুতেও বাংলাদেশ স্লথ গতিতেই রান তুলেছে।

শান্তর সেঞ্চুরি হওয়ার আগ পর্যন্ত খেলা আট ওভারে ২.৭৫ রানরেটে রান তুলেছে বাংলাদেশ। এই অ্যাপ্রোচের কোথাও নিশ্চয়ই ম্যাচ জেতার আগ্রহ পরিলক্ষিত হয় না। ইনিংস ঘোষণার ঠিক আগের দুই ওভারে শান্ত তিনখানা ছক্কা হাঁকিয়ে সমস্ত নেতিবাচকতায় প্রলেপ দিতে চাইলেন। কিন্তু শাক দিয়ে তো আর মাছ ঢাকা যায় না!

Share via
Copy link