রবি শাস্ত্রী এবং রাহুল দ্রাবিড়ের পর ভারতের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন গৌতম গম্ভীর। সদ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দ্রাবিড়। অন্যদিকে, বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের সময় ভারতের প্রধান কোচ ছিলেন শাস্ত্রী। বিরাট-শাস্ত্রী যুগে কোনো আইসিসি শিরোপা না জিতলেও টানা পাঁচ বছর শীর্ষস্থানীয় টেস্ট দল হিসেবে শেষ করেছিল ভারত। তাই তাঁদের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বেশ কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে গম্ভীরকে।
গম্ভীরের নতুন কোচ হওয়ায় এখনো কোনো মন্তব্য প্রকাশ করেনি দ্রাবিড়। তবে শাস্ত্রী গাম্ভীরের বিষয়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করেছেন । প্রাক্তন ভারতীয় কোচ মনে করেন গাম্ভীরের কাছে এমন একটি দলকে একত্রিত করার সঠিক টোটকা রয়েছে। গম্ভীর হয়তো আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোচ হিসেবে কাজ করেনি তবে তাঁর কাছে আইপিএলের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আইপিএলে গম্ভীরের অভিজ্ঞতা নিয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘তিনি সমসাময়িক, তিনি মাত্রই আইপিএলে দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছেন। আমি মনে করি তিনি সঠিক বয়সে আছেন। তিনি তরুণ, তিনি নতুন ধারণা নিয়ে আসবেন। তিনি বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে চেনেন, বিশেষ করে সাদা বলের ফরম্যাটে। কারণ তিনি আইপিএলে দলের অংশ ছিলেন।’
ভারতের নতুন কোচ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এবং আমরা গৌতমের সম্পর্কে জানি, তিনি কোনো আজেবাজে ব্যাক্তি নন। তাঁর জন্য ভাল জিনিস হল তিনি একটি পরিপক্ব দল পেয়েছেন। তাঁর একটি স্থির ও পরিণত দল আছে। যদিও আপনি ভাবতে পারেন আপনি পরিপক্ব, আপনি নতুন কিছু ধারণা থেকে উপকৃত হতে পারেন বলে আমি মনে করি। তাই আমি মনে করি এটি আকর্ষণীয় সময় হবে। কোচ হিসেবে খেলোয়াড় ব্যবস্থাপনাই মুখ্য হয়ে ওঠে, তাই সে এই বিষয়ে কেমন করে তাই দেখায় বিষয়।’
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ডাম্বুলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গাম্ভীর তাঁর অধ্যায় শুরু করবে। কোচ হিসবে খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে শাস্ত্রী বলেন, ‘খেলোয়াড়দের তিনি কত দ্রুত বুঝবেন এটিই মুখ্য প্রশ্ন। তাঁদের শক্তি কি, তাঁরা কি ধরনের মানুষ এবং তাঁদের মেজাজ কেমন? তাঁদের ব্যক্তিত্ব কি? পর্দার আড়ালে একজন মানুষকে বুঝতে সময় লাগে।’
এই সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এটিই তাঁর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে। যা তাঁর জন্য কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। কারণ তিনি এই লোকদের বাহিরেও দেখেছেন। তিনি এমন অনেক লোকের সাথে মোকাবিলা করেছেন যারা কেকেআর সাথে এবং লখনৌয়ের সাথেও খেলেছেন যখন তিনি সেখানে ছিলেন।’