শফিকুল, এখনই নয় ‘ঝরে যাওয়া ফুল’!

২০২০ সালের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শফিকুলের। সেবার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমতো এই বাঁহাতি পেসারকে টুর্নামেন্টের সেরা প্রাপ্তি হিসেবেও উল্লেখ করেন। এমনকি দলের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, তাঁর মাঝে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত দেখেন তিনি। 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অভিষেকেই আলো ছড়িয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম৷ ২০২২ এর সে আসরে নিজের প্রথম উইকেটটাই আদায় করেছিলেন তামিম ইকবালকে বোল্ড করে। এরপরের উইকেটাও তিনি পেয়েছিলেন স্ট্যাম্প উড়িয়ে। মোহাম্মদ শেহজাদ সে দিন স্ট্যাম্প ছত্রখান হওয়ার নীরব দর্শকবনে গিয়েছিলেন। 

তার ঠিক আরো দুই বছর আগের গল্প। ২০২০ সালের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শফিকুলের। সেবার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমতো এই বাঁহাতি পেসারকে টুর্নামেন্টের সেরা প্রাপ্তি হিসেবেও উল্লেখ করেন। এমনকি দলের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, তাঁর মাঝে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত দেখেন তিনি। 

তরুণ এ পেসারদের প্রশংসার ফুলঝুরি ক্যারিয়ারের জন্মলগ্ন থেকেই। কিন্তু, ২০২৪ বিপিএলের অর্ধেক পেরিয়ে শেষ হওয়ার পথে, তখনও একটি ম্যাচের জন্যও একাদশে দেখা যায়নি এ পেসারকে।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের স্কোয়াডে থাকা এ পেসারের এবারের সঙ্গী মাত্র ৩ ম্যাচের অভিজ্ঞতা। অবশ্য এই ৩ ম্যাচ দিয়েই তিনি সামর্থ্যের একটা প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিন ম্যাচ মিলিয়ে নিয়েছেন মোটে চার উইকেট। 

তবে সর্বশেষ ২ ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে নিজের শেষ ম্যাচে ২ উইকেট নিয়েছেন ৫ ইকোনমিন রেটে ২০ রান খরচ করে। খুলনার ইনিংসে প্রথম ধাক্কাটা আবার তিনিই দিয়েছিলেন বিজয়কে ফিরিয়ে। এরপর তিনি ওয়াইন পার্নেলকেও আউট করেন। 

এর ঠিক আগের ম্যাচেই আবার ৪.৫০ ইকোনমি রেটে বোলিং করেছিলেন শফিকুল। এর পাশাপাশি নিয়েছেন একটি উইকেট। সব মিলিয়ে ৪ উইকেট নিলেও নিজের খেলা ৩ ম্যাচে এ পেসারের ইকোনমি ছিল ঠিক ৬.০০। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরিতে এ পেসার তাঁর সেরাটা দিয়েছেন এ আসরে। যদিও মাত্র ৩ টা ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছেন তিনি


এমনিতে শফিকুলের বলে গতি বেশি নেই। তবে লাইন লেন্থ ঠিক রেখে এক নাগাড়ে বল করে যেতে পারেন। আর সেটাই তাঁকে বল হাতে সাফল্যের দুয়ারে পৌঁছে দেয়। এবারের বিপিএলে সুযোগটা সেভাবে মেলেনি টিম কম্বিনেশনের কারণে। অবশ্য রাজশাহীর এ পেসার নিজেও ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরা ছন্দে নেই। 

তবে শফিকুল দিনশেষে একজন আড়ালে থাকা প্রতিভাই বটে। অন্তত প্রতিশ্রুতিশীল পারফর্মারদের একজন তিনি। যার সীমাবদ্ধতা অনেক, তবে সীমাবদ্ধতার মাঝেও নিজের সেরাটা ঢেলে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...