সাদা বলে বছরের শুরুটা করেছিলেন অনেকটা অতিমানবীয় ভাবে। ভারতের জার্সিতে রান ফোরায়া ছুটিয়ে সেই ফর্ম ধরে রাখলেন আইপিএলেও। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে গত ছয় মাসে নিজের তৃতীয় শতক তুলে নেয়া শুভমান গিলের ইনিংসে সানরাইজার্সকে বড় টার্গেট দেয় গুজরাট টাইটান্স।
এরপর মোহাম্মদ শামি, মোহিত শর্মাদের দারুণ বোলিংয়ে ৩৪ রানের বড় জয় পায় টেবিলের শীর্ষে থাকা গুজরাট। এই জয়ে শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্লে অফ খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
আহমেদাবাদে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট হারায় গুজরাট। এরপরই ১৪৭ রানের বিশাল পার্টনারশিপে গুজরাটকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন শুভমান গিল ও সাই সুদর্শন। নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন গিল।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি গিলের তৃতীয় সেঞ্চুরি৷ আর তিনটি সেঞ্চুরিই এসেছে গত ছয় মাসে। প্রথমটি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে, পরেরটি ভারতের হয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার ভারতের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করা সেই একই মাঠে করলেন প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরিটি।
২২ বলেই অর্ধ-শতক পূর্ণ করেন গিল। এরপর ৫৬ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১৩ চার ও একটি ছক্কা ছিল গিলের ইনিংসে। অন্যদিকে, ৩৬ বলে এক ছক্কা ও ছয় চারে ৪৭ রান করেন সুদর্শন।
এই দুই ব্যাটার আউট হবার পর তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে গুজরাটের মিডল ও লোয়ার অর্ডার। ভুবনেশ্বর কুমারের শেষ ওভারে এক রান আউট সহ চারটি উইকেটের পতন ঘটে। ৩০ রানে আইপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পান ভুবনেশ্বর।
আইপিএলের ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে একাধিক বার পাঁচ উইকেট পেলেন ভুবনেশ্বর। ১৮৮ রানে থামে গুজরাটের ইনিংস।
১৮৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে অমলপ্রিত সিংয়ের উইকেট তুলে নেনে মোহাম্মদ শামি। পরের ওভারেই ইয়াশ দয়ালের শিকার হয়ে ফিরে যান অভিষেক শর্মাও। এরপর নিয়মিত বিরতি উইকেট হারাতে থাকে হায়দ্রাবাদ। এক পর্যায়ে ৫৯ রানে সাত উকেটের দল হয়ে যায় হায়দ্রাবাদ।
সেখান থেকে হেনরিক ক্লাসেনের ইনিংসে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় হায়দ্রাবাদ। ৪৪ বলে তিন ছক্কা ও চার চারে ৬৪ রান করেন ক্লাসেন। তবে শুরুর এই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি টেবিলের তলানিতে থাকা দলটি। শেষ দিকে ভুবনেশ্বর কুমার ২৭ রান করলেও ১৫৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি হায়দ্রাবাদ। গুজরাটের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন মোহিত শর্মা ও মোহাম্মদ শামি।
৩৪ রানে হেরে টেবিলের তলানিতেই রইলো সানরাইজার্স। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত তাদের। অন্যদিকে, ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেরা দুইয়ে থাকাও প্রায় নিশ্চিত গুজরাট টাইটান্সের।