ওয়ানডে আর টেস্ট দলে রবীন্দ্র জাদেজার জায়গা যতটা পাকা, টি-টোয়েন্টিতে তেমন নয়। তাই তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেতে হলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আরো একবার নিজেকে প্রমাণ করতে হতে তাঁকে। চলতি আইপিএলের শুরুর দিকে অবশ্য ততটা ধারালো ছিলেন না তিনি; তবে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে।
এদিন কলকাতার বিপক্ষে আঁটসাঁট বোলিং করে তাঁদের একেবারে খাদের কিনারায় পৌঁছে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। চার ওভার বল করে মাত্র আঠার রান খরচ করেছেন তিনি, বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন তিন তিনটি উইকেট। কেবল সংখ্যা দিয়ে অবশ্য এই পারফরম্যান্সকে পুরোপুরি মূল্যায়ন করা যায় না; কোন ব্যাটারকে কখন আউট করেছন সেটাই বলে দেয় তাঁর ইম্প্যাক্টের ব্যাপারে।
কলকাতার একটা সময় স্কোরবোর্ডে রান ছিল পাঁচ ওভারে ৫০/১। সুনীল নারাইন আর আঙকৃষ রঘুবনশির ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল দলটি। তবে সব স্বপ্ন এলোমেলো করে দেন জাদেজা; নিজের প্রথম বলেই আঙকৃষকে আউট করেন তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আরেক সেট ব্যাটার নারাইনকেও ফেরান প্যাভিলিয়নে।
ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট শিকারের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিলেন এই বাঁ-হাতি। ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে তিন রানেই থামিয়ে দেন তিনি, ফলে ৫০/১ থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানে ৬৪/৪ রানের দলে পরিণত হয় শ্রেয়াস আইয়াররা।
স্পেলের শেষ দুই ওভারে কোন উইকেট পাননি ঠিকই; তবে রিংকু সিং আর আইয়ারকে হাত খুলতে দেননি একটবারের জন্যও। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের সৌজন্যেই মাঝের ওভারে মন্থর হয়ে গিয়েছিল কলকাতার রানের চাকা।
অথচ এর আগের চার ম্যাচে স্রেফ এক উইকেট পেয়েছিলেন জাড্ডু। তাঁর মানের একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স যে অপ্রত্যাশিত সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আশার কথা, নিজের চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছেন তিনি। কলকাতার বিপক্ষে ম্যাচ তাঁকে আগামী দিনে নিশ্চয়ই জ্বলে উঠার অনুপ্রেরণা দিবে।