লিটন দাস বাইশ গজে এলেন, বোলারের হাতে একটা সহজ ক্যাচ তুলে দিলেন, এরপর আবার ফিরে গেলেন প্যাভিলিয়নে। আকিল হোসেনকে উইকেট দেবেন বলেই হয়ত ক্রিজে এসেছিলেন তিনি। এমন সফট ডিসমিসাল দেখলে অন্তত তেমনই ধারণা হয়।
২০২৪ সাল জুড়ে টি-টোয়েন্টি ভীষণ বাজে সময় কাটছে লিটন দাসের। সেই লিটনকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধিনায়কত্বের। ব্যাট হাতে তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসেই তিনি ফিরলেন শূন্যরানে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে চলতি বছরে দ্বিতীয় দফা শূন্যরানে আউট হয়েছেন তিনি। খানিক পুলকিত হতে চাইছেন নিশ্চয়ই।
এই বছর সর্বোচ্চ ৫৪ রানের একটি ইনিংস উপহার দিয়েছেন লিটন। সেটাই তার সর্বোচ্চ। এছাড়া এখন পর্যন্ত ১৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে লিটনের গড় মোটে ১৭.১৭। সে ধারাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ফিরেছেন তিনি কোন রান না করেই।
ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সে প্রত্যয় যেন বেলুনের মত চুপসে যায় সময় গড়ানোর সাথে সাথে। অধিনায়ক হিসেবে লিটনের দায়িত্ব ছিল পুরো দলের মধ্য একটা আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার ঘটানো। যদিও তিনি মেকশিফট অধিনায়ক, তবুও দলকে উজ্জীবিত করবার দায়িত্ব তো তারই।
কিন্তু সে কাজে যারপরনাই ব্যর্থ লিটন। নিজেকেই যেন তিনি উজ্জীবিত করতে পারছেন না। টি-টোয়েন্টিতে স্রেফ একটা ছায়া হয়ে বিচরণ করছেন তিনি। তাছাড়া এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে মোটা দাগে লিটন ‘ফ্লপ’। পূর্ণাঙ্গ সিরিজে এখন অবধি একটা হাফসেঞ্চুরি নেই লিটনের। অথচ তিনি খেলে ফেলেছেন আটটি ইনিংস।
ফরম্যাট বদলায় কিন্তু লিটনের দুর্দশা যেন বদলায় না। এ কেমন গোলকধাঁধায় আটকে গেলেন লিটন! এখান থেকে তিনি কি আদোতে আর বেড়িয়ে আসতে পারবেন? লিটন নিজের ওজনটুকু নিশ্চয়ই বোঝেন!