বাপ কা বেটা – কথাটা সত্য কিন্তু জগতে চাইলেই বাবার মত হওয়া যায় না, কিংবদন্তি ক্রিকেটারের ছেলে চাইলেই কিংবদন্তি হতে পারে না। তবে তাই বলে কি চেষ্টা থেমে গিয়েছে? মোটেই নয়, বরং অগুনিত ক্ষুদে প্রতিভা হাঁটতে চেয়েছে ক্রিকেটার বাবার দেখানো পথে। এমনই একজন সমিত দ্রাবিড় – নাম শুনেই বুঝতে পারছেন রাহুল দ্রাবিড়ের উত্তরসূরী!
রাহুল দ্রাবিড়ের ক্রিকেটীয় অধ্যায় শেষ অনেক আগেই, সম্প্রতি কোচ হিসেবে বিশ্বকাপও জিতেছেন তিনি। আর তাঁর ছেলে সমিত এখন নতুন একটা ফুল ফোটানোর চেষ্টা করে চলছে কর্ণাটকে; বাইশ গজে বাবার মতই ভরসাযোগ্য একজন হয়ে উঠতে চাইছেন তিনি। ইতোমধ্যে পেশাদার ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়েছে তাঁর।
জন্ম থেকেই যার পরিচয় ব্যাট বলের সঙ্গে, তাঁর অনুরাগ তো ক্রিকেটের প্রতি থাকবেই। ছোট্ট সমিতও ব্যতিক্রম নয়; ছোটবেলা থেকেই খেলাটার সাথে প্রণয় গড়ে উঠেছিল। বিশ্বখ্যাত রাহুল দ্রাবিড়কে গুরু হিসেবে পাওয়ায় বিদ্যে আয়ত্ত করতে বাড়তি সময় লাগেনি একটুও। এরপর ধীরে ধীরে রাজ্যের স্থানীয় টুর্নামেন্টে নিজের জায়গাটা করে নিয়েছেন সমিত।
ব্যাটার হিসেবেই মূলত বেশি পরিচিত তিনি, সাধারণত মিডল অর্ডারেই ব্যাটিং করেন। একবার উইকেটে সেট হতে পারলে বোলারদের তুলো করতে ভুল হয় না তাঁর। এছাড়া মিডিয়াম পেস বোলিংও করেন – ২০২৩/২৪ মৌসুমে কুচবিহার ট্রফি জেতা কর্ণাটক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য ছিলেন এই ডানহাতি।
সবশেষ গত সপ্তাহে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন দ্রাবিড় জুনিয়র; প্রথমবারের মত পেশাদার চুক্তির স্বাদ পেয়েছেন তিনি। মহারাজা ট্রফি কেএসসিএ টি-টোয়েন্টি নিলামে তাঁকে পঞ্চাশ হাজার রুপির বিনিময়ে স্কোয়াডে ভিড়িয়েছে মাইসুরু ওয়ারিয়র্স।
শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার ক্রিকেটার হিসেবে এগিয়েছেন অনেকটা; আইপিএলও খেলেছেন। কিন্তু চোখে পড়ার মত কিছু করতে পারেননি তিনি এখনো; রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলে কতটুকু কি করতে পারবে সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে এখন পর্যন্ত যা করেছেন তিনি, তাতে তাঁর প্রশংসা করতেই হয়।