আম্পায়ার গাজী সোহেল ‘আউট’ নির্দেশ করে আঙুল তুলে দেওয়ার সাথে সাথেই সৌম্য সরকার ডিআরএসের দ্বারস্থ হন। হাবভাবেই বোঝা যাচ্ছিল – যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। ক্রিজে থাকা অপর ব্যাটার লিটন দাসকেও সেই কথাটাই বলছিলেন বারবার।
ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টার চ্যানেল টি-স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও সেই কথাটাই জানালেন আরেকবার। সৌম্য জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, বল আমার ব্যাট লাগেনি। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর আমি সরাসরি রিভিউ নিয়েছি। হয়তোবা কোনো একটা শব্দ এসেছিল, আমার চেইন থেকে হতে পারে কিংবা হেলমেট থেকে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসী থাকার কারণেই লিটনের কাছে জিজ্ঞাসা না করেই রিভিউ নেওয়া।’
আম্পায়ার আউট দেওয়ার সময় তাঁর রান ছিল ১০ বলে ১৪। উইকেট মাইকে একটা স্পষ্ট শব্দ শোনা যায় বলেই আম্পায়ার গাজী সোহেল আঙুল তুলে দিতে দ্বিধা করেননি। পরে অবশ্য তাঁকে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য করেন টেলিভিশন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল।
আলট্রা এজে স্পাইক দেখা যায় ঠিকই, কিন্তু সেটা বল ব্যাট ছাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পর। তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলও তখন বলছিলেন, ব্যাট ও বলের মধ্যে আলো চলাচলের মত ফাঁক আছে।
দ্বিতীয় জীবন পেয়ে সৌম্য অবশ্য বড় কিছু করতে পারেননি। ইনিংসে নিজের বাকি ১২ টি বলে করেন ১২ রান। এটা ম্যাচের ফলাফলে বড় কোনো ভূমিকা রাখেনি। ১১ বল বাকি থাকতে আট উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ দল।
সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি শ্রীলঙ্কা! ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজ বলেছেন তারা সৌম্যর আউটের ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখবেন।
অভিযোগ নিয়ে প্রথমে ম্যাচ রেফারি এরপর প্রয়োজনে আইসিসির কাছে যাবে শ্রীলঙ্কা। দেখা যাক, এই বিতর্কের জল এবার কতদূর গড়ায়?