শুরুতে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় মারকাটারি ব্যাটিং করেছেন সৌম্য সরকার। যে ভূমিকায় তাকে দেখতে চায় সকলে। সেই ভূমিকাতেই তার আবির্ভাব আরও একটিবার। কিন্তু সেই আগ্রাসন গোধূলীর আলোর মত মিলিয়ে গেল। সৌম্য একটা ধাঁধা হয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন।
প্রথম ম্যাচটা হেরেছিল রংপুর রাইডার্স। সহজ লক্ষ্যমাত্রাকে কঠিন করে সুপার ওভারে ম্যাচ হেরেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য সরকার তাই ম্যাচ জয়ের দিকেই রেখেছিলেন নজর। অন্তত শুরুর দিকে তার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ সেই কথাই বলে।
পাওয়ার প্লে-তে ধুন্ধুমার ব্যাটিং করেছিলেন সৌম্য। ইনিংসের প্রথমভাগে মাত্র ৯ বলে ২১ রান যুক্ত হয় সৌম্যর নামের পাশে। দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। খুব সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে রংপুর রাইডার্স, তেমন ধারণা হচ্ছিল ঘনিভূত।
কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, দৃশ্যপট ততই ঘোলাটে হয়েছে। স্পিনাররা বোলিং প্রান্তে আসা মাত্রই রান তোলার গতিতে ভাটা পড়ে। ইনিংসের হাল ধরার কাজটা করে যাওয়ার প্রয়াশ করেছেন সৌম্য সরকার। তাতে করে ব্যক্তিগত ফিফটিও পেয়ে যান বা-হাতি এই ব্যাটার।
কিন্তু শুরুর সেই আগ্রাসন কোথাও একটা মিলিয়ে যায়। সৌম্যও নিজস্ব একটা খোলসে বন্দী হয়ে যান। শেষ অবধি ৪২টি বল খেলেছেন সৌম্য। কিন্তু রান করতে পেরেছেন মাত্র ৫১টি। যেখানে প্রায় ২০০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন তিনি, সেখানে তিনি আউট হয়েছেন ১২৬ এর একটু বেশি স্ট্রাইকরেট নিয়ে।
অদ্ভুত এক ছন্দপতন বটে। এভাবেই সৌম্য সরকার হুট করেই থমকে যান। ভাল সময় হয়না দীর্ঘায়িত। তাইতো আক্ষেপের দীর্ঘশ্বাসও চলতে থাকে অন্তহীন এক গন্তব্যের দিকে।