নিউজিল্যান্ডের মাটিতে একটা ১৬৯ রানের ইনিংস সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ারটাই বদলে দিয়েছে। জাতীয় দলের আশেপাশে না থেকেও সুযোগ পেয়েছিলেন কিউই সিরিজে, সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন। এবার তাঁর নজরে হয়তো ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) যেভাবে পারফরম করছেন তিনি তাতে বিশ্বকাপের বিবেচনায় ভালভাবেই রাখতে হচ্ছে তাঁকে।
চলতি বিপিএলের পর টি-টোয়েন্টি দল গুছানোর খুব বেশি সময় থাকবে না। সেজন্য এই টুর্নামেন্টে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছেন নির্বাচকরা। তাই তো সৌম্যর ব্যাটের ঝলকানি চোখ এড়ানোর কথা নয়।
এখন পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলে ২৯ ব্যাটিং গড়ে ২০৩ রান করেছেন এই বাঁ-হাতি। বড় রান তেমন একটা করতে পারেননি, পুরো আসরে একটাই ফিফটি; কিন্তু তাঁর রান সবসময়ই ছিল ইম্প্যাক্টফুল। স্ট্রাইক রেট বেশি হওয়ায় প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলকে মোমেন্টাম এনে দিতে পেরেছেন তিনি।
এই ব্যাটারের হার্ডহিটিংও বেশ প্রশংসনীয়, সবমিলিয়ে মোট ১০টা ছক্কা আর ১৯টি চার হাঁকিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ পিঞ্চহিটার বিশেষণের যোগ্য দাবিদার বলা যায় তাঁকে। সর্বশেষ দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচে ৪৮ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে, পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কারও।
ছন্দে থাকা সৌম্য কতটা ভয়ানক সেটাই যেন আরেকবার মনে করিয়ে দিতে চাইছেন তিনি। পুরোপুরি বিধ্বংসী হতে না পারলেও চার ছক্কার মারে বহুল আকাঙ্খিত রূপে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। বড় রান করার আত্মবিশ্বাসও পেয়ে গিয়েছেন ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে, এখন কেবল সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা।
বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের তিন টপ অর্ডার ব্যাটার নাজমুল শান্ত, লিটন দাস আর রনি তালুকদার। এদের কেউই চলতি বিপিএলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। সর্বোচ্চ দশজন রানসংগ্রাহকের তালিকাতেও নেই তাঁরা – অর্থাৎ হুট করেই টি-টোয়েন্টি দলে একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
সর্বোপরি তাই বিশ্বকাপ দলে জায়গায় পাওয়ার দৌড়ে সৌম্য সরকার দারুণভাবে এগিয়ে গিয়েছেন। অন্তত সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনা করা হলে তাঁকে টি-টোয়েন্টি দলে রাখতেই হবে। লাল-সবুজের জার্সিতে এই ফর্মের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিকিট নিশ্চয়ই পেয়ে যাবেন তিনি।