সৌরভের অভিষেক রানের অনুভূতি ফিরেছে

হারতে হারতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবার যোগাড়। দিল্লী ক্যাপিটালসের অবস্থাটা এতটাই শোচনীয় ছিলো গতকালের ম্যাচের আগে। এবারের আসরের প্রথম জয়টা পেতে দিল্লীর লেগে গেলো ছয়টা ম্যাচ। এক পর্যায়ে অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছিলো যে একটা জয়ের জন্য দিল্লীর রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিলো।

হারতে হারতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবার যোগাড়। দিল্লী ক্যাপিটালসের অবস্থাটা এতটাই শোচনীয় ছিলো গতকালের ম্যাচের আগে। এবারের আসরের প্রথম জয়টা পেতে দিল্লীর লেগে গেলো ছয়টা ম্যাচ। এক পর্যায়ে অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছিলো যে একটা জয়ের জন্য দিল্লীর রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিলো।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জয়ের পর দিল্লীর খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সদস্যদের চোখে মুখে ছিলো বিরাট এক তৃপ্তির ছাপ। দিল্লীর ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভ গাঙ্গুলি তো বলেই ফেললেন, এই জয়ের স্বাদ অনেকটা তাঁর প্রথম টেস্ট রান পাবার মত।

কলকাতার বিপক্ষে দিল্লীর এই জয়টা শুধু পয়েন্টের জন্যই নয়, একদমই হারিয়ে যেতে থাকা দিল্লীর মনোবল ফিরিয়ে আনতেও মহাগুরুত্বপূর্ণ ছিলো। দিল্লীর অবস্থা এতটাই নাজেহাল ছিলো যে দিল্লীর ডাগআউটে থাকা রিকি পন্টিং, সৌরভ গাঙ্গুলিদের ভূমিকা নিয়েও উঠেছিলো প্রশ্ন। অক্ষর প্যাটেলের শটে জয় নিশ্চিত হবার পর দিল্লীর ডাগআউটে যেন এক পশলা স্বস্তির বাতাস বয়ে গেছে।

 

এমনকি সৌরভ এই জয়ের মূহুর্তকে ১৯৯৬ সালে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে করা প্রথম রানের স্বাদ পাবার সাথেও তুলনা করতে কুন্ঠাবোধ করলেন না। সৌরভ বলেন, ‘‘জিততে পেরে খুশি। আমি ডাগআউটে বসে ভাবছিলাম যে, এটা আমার ২৫ বছর আগে প্রথম টেস্টে রান পাওয়ার মতো। আমরা আজ ভাগ্যবান ছিলাম।’

জয় পাবার চেয়েও বড় কথা ছিলো দিল্লীর খেলার ধরণ। সৌরভও স্বীকার করে নিয়েছেন নিজ দলের ব্যর্থতার কথা। ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অধিনায়ক বলেন, ‘‘এই মৌসুমে এর আগেও আমরা ভালো বোলিং করেছি; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ব্যাটিংয়ে। আমাদের নিজেদের ভুলত্রুটিগুলো খুঁজতে হবে এবং দেখতে হবে কিভাবে আমরা আরও ভালো করতে পারি। স্পিনাররা ভালো বোলিং করেছে। আমি জানি আমরা ভালো খেলিনি এবং আরও ভালো ব্যাট করার পথ খুঁজতে হবে।’

সৌরভ আরো বলেন, ‘আমাদের ছেলেদের কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের ফর্ম ফিরে পেতে হবে। সেটা পৃথ্বি, মানিশ হোক বা মিচেল মার্শ। তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আগামীকাল (আজ শুক্রবার) আমাদের একদিনের ছুটি আছে এবং এরপর হায়দরাবাদে উড়ে যাব। আশা করি, সেখানে ভালো ব্যাটিং উইকেট হবে, সাধারণত যেটা হয়ে থাকে।’

হারতে হারতে নিজের আত্মবিশ্বাসের একদম তলানীতেই পৌঁছে গেছিলো দিল্লী ক্যাপিটালস। দলের সকলের মুখগুলোই যেন দিল্লীর অবস্থার জানান দিচ্ছিলো। অবশেষে বোলারদের দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দায়িত্বশীলতায় পয়েন্টের খাতা অবশেষে খুলতে পারলো দিল্লী। পন্টিং-গাঙ্গুলিরাও নিশ্চই হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন এই জয়ের পর

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...