ইনজুরির থাবায় বিধ্বস্ত ভারতীয় শিবির। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের নাম খসে পড়ছে তালিকা থেকে। প্রথমে বাদ দিতে হয়েছে বিশ্বকাপ মিশনের নীল নকশাতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে। তারপর বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেলেন জাসপ্রীত বুমরাহ, আর এবার সম্ভবত বাদ পড়তে চলেছেন দীপক চাহার। ইনজুরিতে জর্জরিত ভারতীয় শিবিরে এই মুহুর্তে একমাত্র স্বস্তির কারণ সম্ভবত বিরাট কোহলির প্রত্যাবর্তন।
বিরাটের সেঞ্চুরি খরা ছিল দীর্ঘ ১০২০ দিনের। সেই সময়টায় দলের ওপর বোঝা বলেও তাঁর সমালোচনা হচ্ছিল। অনেকে ভেবেছিলেন ‘বিরাট অধ্যায়’ এর এই বুঝি ইতি ঘটেছে। কিন্তু এই যুগের ব্যাটিং সম্রাট কি এত সহজে মিইয়ে যেতে পারতেন! তাই ফেরার জন্য বিরাট বেছে নিলেন এশিয়া কাপের আসরকে।
দীর্ঘদিন অফ ফর্মে থাকা বিরাট দেখিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি এখনও এশিয়া কাপের মঞ্চের সেরা ব্যাটার হিসাবে বিবেচিত হন। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৭১ তম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। তারপর থেকে নতুন করে শুরু করলেন ‘বিরাটের দ্বিতীয় অধ্যায়’।
এশিয়া কাপে সেঞ্চুরির পর থেকে, বিরাট কোহলি দারুণ ফর্মে আছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি–টোয়েন্টিতে ৪৮ বলে ৬৩ রান করেছেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে করেছেন ২৮ বলে ৪৯ রান। আসন্ন বিশ্বকাপেও দলের ব্যাটিং ভরসার নাম বিরাট।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি জ্যাক ক্যালিস আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে তাঁর বিরাট ভাবনা শেয়ার করেছেন। রীতিমতো ভারত- পাকিস্তান হাই ভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে কিছুটা ভবিষ্যদ্বাণীই করে বসলেন সবেক এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘কোহলি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন, তাই তাঁর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফর্ম ড্রপ এবং ফর্মে ফেরা দুটোই খেলার অংশ। আমি মনে করি, সে আসন্ন ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কোহলি এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর ছাপ রেখে যাবে।’
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা যে বিরাট কোহলি পারফরমেন্স দিয়ে নিজের করে নিতে চাইবেন এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। সদ্যই নিজের সবচেয়ে খারাপ সময়টা, ক্যারিয়ারের কালো অধ্যায়টা পার করে ফিরলেন। বিস্তর আলোচনা- সমালোচনা হজম করেছেন সেই অনুজ্জ্বল অধ্যায়ে। সময় ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। সময় ফিরেছে, ফর্ম খুঁজে পেয়েছেন। এবার জবাবটা হয়তো দিবেন ব্যাট হাতে, মাথা উঁচিয়ে। এইতো অপেক্ষা আর কটা দিনের। বিরাট ও বিরাটের অনন্য ব্যাটিংয়ে বিশ্বক্রিকেট আরেকবার মাতোয়ারা হবে, এই প্রত্যাশায় বিরাট ভক্তরা।