নিজের খেলোয়াড়ী জীবন বিতর্কে ভরপুর; কখনো মেজাজ হারিয়ে রগচটা আচরণ করেছেন, কখনো আবার ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়েছে তাঁর নাম – সেই শ্রীশান্ত আবারো উঠে আসলেন আলোচনায়। নাহ, নেতিবাচক কিছু নয় বরং সর্বকালের সেরা ‘মাথা গরম’ একাদশ বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই একাদশে নিজেকেও রেখেছেন বটে।
ওপেনিংয়ে গৌতম গম্ভীর আর বিরাট কোহলিকে রেখেছেন এই পেসার। দু’জনের অম্ল মধুর সম্পর্কের কথা কে না জানে, আবার আলাদা ভাবেও তাঁরা কতশত বার ক্রিকেট মাঠে ঝামেলা বাঁধিয়েছেন সেটার ইয়াত্তা নেই।
তিন, চার ও পাঁচ নম্বরে আছেন যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং, ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলি এবং পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি! তাঁরা ক্রিকেটার হিসেবে যেমন ছিলেন সময়ের সেরা, তেমনি মেজাজের দিক দিয়েও অনন্য। বোধহয় তাঁদের কারো অভিধানেই আপোষটা শব্দটা ছিল না; কোন ঘটনা মনমতো না হলেই প্রতিক্রিয়া দেখাতে ভুল করতেন না।
বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানকে রাখা একাদশে রাখা বাধ্যতামূলক, এমনটাই বলে বসেন শ্রীশান্ত। বোঝাই যাচ্ছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে নিয়ে ভালো জানাশোনা আছে তাঁর; ২০১৪ সালে দর্শক বিতর্ক, নিদাহাস ট্রফিতে ম্যাচ বয়কটের হুমকি কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে স্ট্যাম্পে লাথি মারা – এতসব কিছুর পর তাঁকে এই ভিন্নধর্মী একাদশে না রাখলে অস্বাভাবিক মনে হতো।
লোয়ার মিডল অর্ডারে আছেন উইন্ডিজ তারকা পোলার্ড এবং ভারতের হরভজন সিং। মিশেল স্টার্ককে ব্যাট ছুড়ে মারা পোলার্ড বলটাকেও ভালভাবে পেটাতে জানেন, অন্যদিকে স্বয়ং শ্রীশান্তকেই চড় দেয়ার ঘটনা আছে হরভজনের জীবনে।
বোলিং বিভাগে শ্রীশান্ত ছাড়াও আছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস, অনবরত স্লেজিং আর রেগে গিয়ে বিধ্বংসী সব বাউন্সার দেয়ার জন্য এখনো তাঁর আলাদা খ্যাতি রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যান্দ্রে নিল খানিকটা অপরিচিত হলেও রগচটা মনোভাবের ক্ষেত্রে কারো চেয়ে কম নন তিনি। সম্ভবত নিজের সাড়ে ছয়ফুট উচ্চতাটাই তাঁর মেজাজের উৎস।