রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে এক চিমটি পরিমাণও স্বস্তির নয় একটি রেকর্ডও। লজ্জায় মুখ লুকানো দায়। স্রেফ ৫০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার রেকর্ডটা নিশ্চয়ই কেউ গড়তে চায় না। তবে নেহায়েত এক দুর্ভাগ্যজনক দিনেই যেন হতে হলো এশিয়া কাপের ফাইনাল।
একরাশ রেকর্ডের মাঝে শ্রীলঙ্কা আরও এক জায়গায় প্রথম। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম সময়ে অলআউট হয়েছে দাসুন শানাকার দল। এমন হতশ্রী এক রেকর্ডের মালিক নিশ্চয়ই হতে চায়নি লঙ্কান এই দলটি। তবে ভারতীয় বোলারদের বোলিং তোপের মুখে স্রেফ ১৫.২ ওভারই টিকতে পেরেছে লঙ্কান ব্যাটাররা।
প্রতিরোধ গড়বার বিন্দুমাত্র সুযোগও যেন পাননি। মোহাম্মদ সিরাজের এক ওভারই যেন লঙ্কান দূর্গকে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। প্রথমে পাথুম নিসাঙ্কা। এরপর এক এক করে সাদিরা সামাভিক্রামা, চারিথ আসালাঙ্কা ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা পরিণত হন সিরাজের উইকেটে।
এক ওভারে চার উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা লড়াই তো দূরে থাক, একটু নি:শ্বাস ফেলবার সময়টুকু পায়নি। ফর্মের তুঙ্গে থাকা কুশল মেন্ডিসও দলকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি বেশিদূর অবধি। তাতে ৯২ তম বলের মাঝেই তল্পিতল্পা গুটিয়ে প্যাভিলনের পথ ধরে শ্রীলঙ্কা।
তবে এটিই অবশ্য দ্রুততম তমে অলআউট হওয়ার রেকর্ড না। নেপালের বিপক্ষে ২০২০ সালে ১২ ওভারের মাঝেই অলআউট হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কাই দ্রুততম। শ্রীলঙ্কার ঠিক পেছনেই রয়েছে জিম্বাবুয়ে।
সেই রেকর্ডের সাথেও আবার শ্রীলঙ্কার জড়িত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ২০০১ সালে ৯৪ তম বলে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। রান করেছিল মাত্র ৩৮। এমনকি চতুর্থ দ্রুততম সময়ে অলআউট হওয়ার রেকর্ডের সাথেও শ্রীলঙ্কার নামটি রয়েছে জড়িয়ে।
২০০৪ সালে সেই জিম্বাবুয়েকেই ১৮ ওভারের মধ্যে অলআউট করেছিল লঙ্কানরা। এই তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। ২০১১ সালে তাদেরকেও পড়তে হয়েছিল দ্রুততম সময়ে অলআউট হওয়ার লজ্জায়।
সেবার কানাডার বিপক্ষে ১৫০ রান করতেই নিজেদের সবক’টি উইকেট হারিয়েছিল আফগানিস্তান। তবুও তাদের সব উইকেট তুলে নিতে কানাডার সময় লেগেছিল ১৮.৩ ওভার।
এই তালিকায় থাকা প্রতিটা দলই ব্যাকফুটে থাকাকালীন সময়েই এমন দৃষ্টিকটু রেকর্ডে নিজেদের নাম লিখিয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কার চিত্রটা ভিন্ন। পাকিস্তান, বাংলাদেশের মত দলকে পেছনে ফেলে এশিয়া কাপের ফাইনাল অবধি পৌছেছিল দলটি।
একপেশে এক শিরোপা তারা উপহার দেয় ভারতকে। ঠিক সে কারণেই হয়ত শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে একটি কালিমা মাখা অধ্যায় হয়ে রইবে এমন বাজে ব্যাটিং প্রদর্শন।