রিশাদ-তাসকিন ঝড় ছাপিয়ে লঙ্কানদের সিরিজ জয়

সিরিজে প্রথমবারের মত খেলতে নেমেছেন। নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট। শুধু দ্বিতীয় নয়, ‍তৃতীয় ও চতুর্থ বলেও উইকেট নেন নুয়ান থুসারা। থুসারার বোলিংয়ের সামনে কোনো জবাবই ছিল না নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ১৫ রানের মধ্যে চারটি উইকেট নেই বাংলাদেশের। ১৭৫ রানের টার্গেটে এরপর আর মাথা ‍তুলে দাঁড়ানোর সুযোগই পায়নি বাংলাদেশ দল।

শেষের দিকে রিশাদ হোসেন-তাসকিন আহমেদরা বিস্ময়কর ঝড় তুুললেও তাঁতে শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের। তবে ব্যবধান কমে আসে। বাংলাদেশ হারে ২৮ রানে। চার ওভারে ২০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন থুসারা। চতুর্থ লঙ্কান হিসেবে টি-টোয়েন্টি পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের নায়ক যথারীতি কুশল মেন্ডিস। বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই জ্বলে ওঠে তাঁর ব্যাট। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। সিরিজের টানা তিন ম্যাচেই দারুণ ধারাবাহিক ছিল তাঁরর ব্যাট।

এবার ৫৫ বল খেলে করেন ৮৬ রান। ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও ছয়টি ছক্কা। এক কুশলের  ইনিংসেই বড় স্কোর বোর্ডে জমা করে শ্রীলঙ্কা। সত্যি কথা হল – তিনি ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই বলার মত রান করতে পারেননি। বাংলাদেশের  হয়ে দু’টি উইকেট নেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

জবাব দিতে নেমে থুসারার বোলিংয়ের কোনো জবাব ছিল না বাংলাদেশের সামনে। তবে, একটু ভিন্ন ভাবনা ছিল রিশাদ হোসেনের। সপ্তম উইকেট জুটিতে তিনি শেখ মেহেদী হাসানকে সাথে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন রিশাদ।

এখানেই শেষ নয়, ঝড়ো এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৩০ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। একাই হাঁকান সাতটি ছক্কা। টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে এর আগে আর কোনো ব্যাটারই এতগুলো ছক্কা মারতে পারেননি। অষ্টম ‍উইকেট জুটিতে তাসকিন আহমেদকে সাথে নিয়ে যোগ করেন ৪১ রান। তাসকিন ২১ বলে করেন ৩১ রান। এই জুটি বাংলাদেশকে বড় লজ্জা থেথকে রক্ষা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link