আইসিসির নক আউটে একাধিক সেঞ্চুরির মালিক যারা

ডেভিড মিলারকে বোধহয় ক্রিকেট বিধাতা খেলতে পাঠিয়েছেন কেবল দুঃখ দিতে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিং ধ্বসের মুখে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে তাঁদের একা হাতে টেনে তুলেছিলেন মিলার, হাঁকিয়েছিলেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি। যদিও জেতা হয়নি সেবার, ঠিক যেমন হয়নি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে।

ডেভিড মিলারকে বোধহয় ক্রিকেট বিধাতা খেলতে পাঠিয়েছেন কেবল দু:খ দিতে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিং ধ্বসের মুখে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে তাঁদের একা হাতে টেনে তুলেছিলেন মিলার, হাঁকিয়েছিলেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি। যদিও জেতা হয়নি সেবার, ঠিক যেমন হয়নি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে। কিউইদের ছুড়ে দেয়া পাহাড়সম লক্ষ্যের বিপরীতে তিনি লড়ে গিয়েছেন নিঃসঙ্গ শেরপার মত।

শেষপর্যন্ত ১০০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন এই বাঁ-হাতি। অবশ্য দলকে তীরে ভেড়াতে না পারলেও দারুণ একটা রেকর্ড গড়েছেন তিনি। আইসিসি ওয়ানডে টুর্নামেন্টের নকআউটে একাধিক সেঞ্চুরির কীর্তি যোগ হলো তাঁর ঝুলিতে।

তবে প্রোটিয়া ব্যাটার একাই নন, আরো বেশ কয়েকজনের আছে এমন অর্জন। তাঁদের একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছে খেলা-৭১।

  • রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)

মেজর টুর্নামেন্টের নক আউটে রিকি পন্টিং মানেই ছিল বড় ইনিংস। এর মধ্যে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা ১৪০ রানের অতিমানবীয় ইনিংসটা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে সেরা। তাঁর এই ইনিংসে ভর করে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল অস্ট্রেলিয়া।

২০১১ বিশ্বকাপে একই প্রতিপক্ষের পুনরায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পান পন্টিং। এবার অবশ্য দল জিততে পারেনি। আর এর বাইরে ২০০৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংলিশদের বিপক্ষে জয়সূচক সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

  • সৌরভ গাঙ্গুলি (ভারত)

রিকি পন্টিংয়ের মত সৌরভ গাঙ্গুলিরও আইসিসির ওয়ানডে টুর্নামেন্টে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি এসেছে ২০০০ সালে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৪০ রানের অনবদ্য একটা ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, ফাইনালেও চেষ্টার কমতি রাখেননি। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১১৭ রান।

কিন্তু সেটা যথেষ্ট হয়নি, ভারত সেবার রানারআপ হয়েই দেশে ফিরে। এছাড়া ২০০৩ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরি করেছিলেন গাঙ্গুলি।

  • শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া)

২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে স্বপ্নীল সময় পার করেছেন শেন ওয়াটসন। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দশ চার এবং সাত ছক্কায় ১৩৬ রান করেছিলেন তিনি, অস্ট্রেলিয়া না জিতে আর যায় কই। ফাইনালেও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে তাঁর ব্যাট, খেলেন ১০৫ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।

শেষপর্যন্ত নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে ওয়াটনের আক্ষেপ থাকতে পারে, বিশ্বকাপে কোন সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ।

  • মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা)

শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনেও পেয়েছেন আইসিসির ওয়ানডে টুর্নামেন্টের নকআউটে জোড়া সেঞ্চুরির স্বাদ। ২০০৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তাঁর অপরাজিত শতকে ভর করে ম্যাচ জেতে লঙ্কানরা, সেদিন তিনি করেছিলেন ১০৯ বলে ১১১ রান।

অবশ্য পরের বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রায় একই ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি জয়াবর্ধনে, ৮৮ বলে ১০৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেও তাঁকে ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থাকতে হয়েছে।

Share via
Copy link