সাদা পোশাকের ফরম্যাট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিবেন তিনি। ২০১১ সালে অভিষেকের পর থেকে এক যুগের বেশি সময় অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটির অংশ ছিলেন ওয়ার্নার, কিন্তু এখন অজিদের খুঁজতে হবে নতুন কাউকে।
কিন্তু স্টিভেন স্মিথ সব চিন্তা দূর করে দিলেন এক লহমাতেই। নির্বাচকরা চাইলে খুশি মনেই ওয়ার্নারের জায়গায় ব্যাট করতে রাজি হবেন এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে একটি সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় নিজের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছিলেন এই ডানহাতি; তবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য নয়, ওপেনিং সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হওয়ার ইচ্ছে তাঁর।
এতদিন উদ্বোধনী ব্যাটার হওয়ার দৌড়ে কোথাও ছিলেন না এই তারকা। তরুণ ক্যামেরন গ্রিন, ক্যামেরন ব্যানক্রাফট, মার্কাস হ্যারিসদের ওয়ার্নারের উত্তরসূরি ভেবে রেখেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। আবার কেউ কেউ মার্নাস লাবুশানেকে তিন নম্বর থেকে ওপেনিংয়ে প্রমোট করার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন।
যদিও এখন সব মনোযোগ কেড়ে নিয়েছেন স্মিথ। এর আগে অবশ্য ওপেনিংয়ে কখনো দেখা যায়নি তাঁকে, তিন আর চার নম্বরেই খেলেছেন পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে। এই দুই পজিশনেই রান করেছেন ষাটের বেশি গড়ে; অথচ দলের প্রয়োজনে কম্ফোর্ট জোন ছেড়ে নিজেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে চাইলেন নিজেই।
তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই ওপরে ব্যাট করতে পারলে খুশি হব। তারা এটি করতে চায়, তাহলে আমি রাজি। আমি নিশ্চিত যে, নির্বাচক রন [অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড] এবং প্যাটি [কামিন্স] এই ম্যাচের পরে ওপেনিং নিয়ে আড্ডা দেবে। তবে হ্যাঁ, আমি আমার দিক থেকে অবশ্যই আগ্রহী।’
এখন দেখার বিষয়, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ডেভিড ওয়ার্নারের পরিবর্তে স্পেশালিষ্ট কোন ওপেনারকে দলে নেয়া হবে নাকি লাবুশানে কিংবা স্মিথকে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে – এই প্রশ্নের উত্তর শীঘ্রই জানা যাবে। কেননা দিন দশেক পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ শুরু হতে যাচ্ছে, এর আগেই স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে নির্বাচকদের।